দিশা মাল্টিপারপাস ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

53

ডি.পি.এস. সঞ্চয়ের নামে নগরীর বন্দর থানাধীন পোর্ট কলোনী এলাকার জামাল ফরাজির মালিকানাধীন দিশা মাল্টিপারপাস ফাউন্ডেশনের গ্রাহকদের থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে গত ১৬ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে জামাল ফরাজির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার প্রতারণার স্বীকার কামরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন দিশা মাল্টিপারপাস ফাউন্ডেশন দ্বিগুণ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ডিপিএস করার কথা বললে মাসিক এক হাজার টাকা চালু করে তিনি। সাথে তার ভাই বোন, আত্মীয়-স্বজন সহ সর্বমোট ৩৫ জনের ডিপিএস করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা জমা প্রদান করেন তারা। অতপর মেয়াদান্তে দিশা ফাউন্ডেশনের কাছে জমাকৃত টাকা ফেরত চাহিলে দিবে বলে মাসের পর মাস প্রতিশ্রæতি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিশ্রæতি মোতাবেক সময়ের পর অর্থ চাহিতে গেলে আমাকে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দেয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তারা আরো বলেন, তাদের জমা বই জামাল ফরাজি ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কোন উপায় না দেখে কামরুল ইসলাম তার আমার আত্মীয়-স্বজনদেরকে নিয়ে কোর্টের ধারস্থ হয়ে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ১৯৭/১৮। মামলা দায়েরের পর আমাকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করছে বলে জানান। উল্লেখ্য, চল্লিশ জন সদস্য থেকে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের পর প্রতারণার স্বীকার সদস্যরা প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় অভিযোগ করতে গেলে এখনো অভিযোগ গ্রহণ করে নাই। তারপর পুলিশ কমিশনার বরাবরে গত ১৪/০৭/২০১৮ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যাহার জমা স্মারক নং- ১৫৬৭১। কিন্তু এখনো কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা জানান। দুদক ও র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেও কোন ফলাফল মেলেনি। সর্বশেষ আদালতে মামলা করলে কোর্টের তদন্ত রিপোর্টে এ জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কোন প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ করেছে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা। বিজ্ঞপ্তি