দারিদ্র্য হার ২০ শতাংশে নেমেছে

41

মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ, এখন কমে হয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি হতদারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে হতদারিদ্র্যের ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০৩১ সালে দেশে হতদারিদ্র্য থাকবে না।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগর অর্থমন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং জাতীয় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এসব কারণেই মূলত দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্য কমেছে। খবর বাংলানিউজের
২০ দশমিক ৫ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতি বছর জিডিপি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন ও প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যায়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব সম্পন্ন হয়েছে। হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হেজ) ২০১৬ অনুযায়ী ২০১৭, ১০১৮, ও ২০১৯ সালের প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে সবকিছু ব্যবহার করা হয়েছে। দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে জিডিপি ১ শতাংশ বাড়লে দারিদ্র্য ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে। তবে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়লে দারিদ্র্যের হার কমেছে ০ দশমিক ৮৩৫ শতাংশ।
কয়েক বছর ধরেই দারিদ্র্যের হার কমছে। ২০০০ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। একইভাবে ২০০৫ সালে ৪০ শতাংশ, ২০১০ সালে ৩১ দশমিক ৫, ২০১৬ সালে ২৪ দশমিক ৩ ও ২০১৭ সালে দারিদ্র্যের হাম কমেছে ২৩ দশমিক ১ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে দারিদ্র্যের হার কমছে। দারিদ্র্য আমাদের প্রধান শত্রæ। দারিদ্র্যের হাম কমায় প্রধানমন্ত্রী অনেক উৎফুল্ল। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দারিদ্র্যের হার কমেছে।