দশ বছর আয়করই দেননি ট্রাম্প

23

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখেই বোমা ফাটাল নিউইয়র্ক টাইমস। ২০১৬ ও ১৭ সালে ডনাল্ড ট্রাম্প মাত্র ৭৫০ ডলার আয়কর দিয়েছেন। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর আয়করই দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প। আর ২০১৬ সালে, যে বছর তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ভোটে লড়েন এবং তার পরের বছর তিনি মাত্র ৭৫০ ডলার আয়কর দিয়েছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি, তাদের কাছে সব নথিপত্র রয়েছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প কর দেননি। আর ট্রাম্প এই খবরকে ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, আমি আসলে আয়কর দিয়েছি। সেটা নিয়ে অডিট হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে অডিট হয়েই চলেছে। সব দোষ কর কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, কর কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে না। তারা আমার সঙ্গে খুবই কারাপ ব্যবহার করছে।
ট্রাম্প তার আয়কর রিটার্ন প্রকাশ করেননি। ১৯৭০ সালের পর থেকে তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি আয়করের রিটার্ন প্রকাশ করলেন না। এটা অবশ্য আইন অনুযায়ী তিনি করতে বাধ্য এমন নয়। তবে মার্কিন প্রসিডেন্টরা স্বচ্ছতার জন্য নিজের আয়কর রিটার্ন প্রকাশ করে দেন। নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টও বলছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিসের এক দশক ধরে বিরোধ চলছে। ট্রাম্প তার বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে ৭ কোটি ২৯ লাখ ডলারের ট্যাক্স রিফান্ড দাবি করেছেন। বিরোধ সেটা নিয়েই।
সংবাদপত্রটির দাবি, ট্রাম্প ও তার কোম্পানিগুলির গত দুই দশকের আয়কর রিটার্নের তথ্য তাদের হাতে এসেছে। এই নথি খতিয়ে দেখে তাদের মনে হয়েছে, এ নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
রিপোর্ট বলছে, গত পনেরো বছরের মধ্যে দশ বছরই বিপুল ক্ষতির কথা জানিয়ে ট্রাম্প কোনো আয়কর দেননি। আর যে বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম বছরে মাত্র সাড়ে সাতশ ডলার আয়কর দিয়েছিলেন। অথচ, তিনি প্রচুর সম্পত্তি ও ব্যবসার মালিক। ট্রাম্পের দাবি, তার গল্ফ কোর্স, হোটেলগুলি বছরের পর বছর কোটি কোটি ডলার ক্ষতি করছে। মিয়ামিতে তার সব চেয়ে বড় গল্ফ কোর্স রিসর্ট ২০১৮ সালে ১৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার ক্ষতি করেছে বলে তার দাবি। তাছাড়া স্কটল্যান্ডে দুইটি এবং আয়ারল্যান্ডে একটি গল্ফ রিসর্টে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ডলারের ক্ষতি হয়েছে। আগামী চার বছরে তাকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ ও অন্য পাওনা মেটাতে হবে।