দশ বছরেও যাওয়া হলো না শ্বশুরবাড়ি অবশেষে মৃত্যু

54

ভালোবেসে বিয়ের দশ বছরেও স্বামীর ঘরে উঠা হলো না লাভলী আকতারের। অবশেষে স্বামীর অবহেলা-অনাদরে নয়দিন বয়সী শিশুসহ দুই সন্তানকে রেখে গতকাল শনিবার মারা যান তিনি। লাভলী আকতার রাউজান পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ ওমদা মিয়া হাজী বাড়ির মৃত ইসহাকের মেয়ে।
জানা যায়, একই এলাকার মোশরফ আলী হাজী বাড়ির মো. মনছুরের ছেলে প্রবাসী রবিউল হোসেন রনির সাথে দশবছর পূর্বে বিয়ে হয় লাভলীর। বিয়ের পূর্ব থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর লাভলীকে স্বামী রনি হাটহাজারীতে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় তোলেন। পরে লাভলীর পিতার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকাও নেন। কিন্তু তবুও তাকে স্বামীর ঘরে না তোলে তিনি বরং এর মধ্যে আরেকটি বিয়ে করে সেই স্ত্রীকেই ঘরে তুলে বসেন। যার কারণে লাভলীর ঠাই হল বাপের বাড়ি ওমদা মিয়া হাজি বাড়িতে। এরই মধ্যে লাভলী তার পিতা-মাতাকে হারান। স্বামী মাঝে-মধ্যে সেখানে আসলেও তেমন একটা খোঁজখবর রাখতেন না। তাদের সংসারে জন্ম নেয় ইসফাত (১০) ও ৯ দিন বয়সী দুই কন্যাসন্তান। কিন্তু দেশে থাকলেও মেয়ে হওয়ায় ৯ দিন পূর্বে জন্ম নেয়া সেই সন্তানকেও একনজর দেখতে এলেন না রনি। গত শুক্রবার রাত থেকে লাভলীর গলায় রক্তক্ষরণ হলে স্বামী একবারও দেখতে আসেন নি। এলাকার লোকজন লাভলীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে লাভলীর চাচা মো. ইউনুছ বলেন, ৩ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্য বড় লাভলী। ভাইটি মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমরা সবাই মিলে অনুষ্ঠান আয়োজন করে তার বিয়ে দিই। কিন্তু রনি প্রতারণা করে তাকে ঘরে না তুলে নিয়ে যায় হাটহাজারীতে। এখন তার ৯ দিন বয়সী নবজাতক ও ১০ বছরের মেয়েটিকে নিয়ে চরম শঙ্কটে আছি।
নিহতের বোন সাবলী আকতার বলেন, স্বামীর নির্যাতন ও অবহেলায় আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে। আমি এই মৃত্যুর বিচার আমরা চাই।