দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামে ব্যস্ত দুই প্রার্থী

35

আসন্ন সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল, বাছাই পর্ব শেষ হওয়ার সাথে সাথেই প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নিজ নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে নামানোর জন্য দলীয় বর্ধিত সভা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ইতোমধ্যে একাধিক ইউনিয়নে দলের বর্ধিত সভাও সমাপ্ত করেছেন তারা।
দুই প্রার্থীর পক্ষেই নিজ নিজ দলের জেলা পর্যায়ের নেতারা সক্রিয় হয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ পেলেই শুরু হবে নির্বাচনের মূল প্রচারণা। উপজেলাজুড়ে সাঁটানো হবে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন।
আগামি ২২ সেপ্টেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা আছে। এর পরের দিনই প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব সিআইপি আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাতকানিয়া বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ মোতালেব সিআইপির সমর্থনে ইতোমধ্যে চরতি, আমিলাইষ, খাগরিয়া, কালিয়াইশ ও পুরানগড় ইউনিয়নে দলের বর্ধিত সভা সমাপ্ত হয়েছে। বাকি ইউনিয়নসমূহেও দ্রুত বর্ধিত সভা শেষ করা হবে বলে জানান সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী। জানান, ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলা। পৌরসভা ও প্রতিটি ইউনিয়নে দলের বর্ধিত সভা করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা হচ্ছে। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে জেলা ও উপজেলার সিনিয়র নেতারাও বিশেষ করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি এম ইদ্রিসসহ আরো বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা মাঠে কাজ করছেন। দল আগে থেকেই গোছানো থাকার কারনে নির্বাচনী কাজে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ অনেকটা সহজ হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর সমর্থনে সোনাকানিয়াসহ আরো একাধিক স্থানে দলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ সিনিয়র নেতারা মাঠে নেমেছেন। দলের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করে জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাতকানিয়ায় বিজয় ছিনিয়ে আনতে চান তারা। দলীয় প্রার্থীর বিজয় প্রসঙ্গে সাতকানিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশন সাতকানিয়ার সবক’টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। যদি কারচুপিহীন নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপির প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত।
সাতকানিয়া বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, দীর্ঘ দিন থেকেই সাতকানিয়া হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির ঘাঁটি। আমরা এ নির্বাচনে জনপ্রিয় প্রার্থী দিয়েছি। জামায়াতের প্রার্থীও নেই। সেই হিসেবে আমরা এ সাতকানিয়ায় জাতীয়তাবাদী-ইসলামী শক্তির প্রতীক ধানের শীষের পক্ষেই রায় পাবো বলে আমার বিশ্বাস।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, প্রতীক না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা করা যাচ্ছে না। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দলের বর্ধিত সভা করছি। সোনাকানিয়া ও মাদার্সা ইউনিয়ন সমাপ্ত করেছি। সবক’টি ইউনিয়নে দ্রুত বর্ধিত সভা শেষ করব।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ মোতালেব সিআইপি বলেন, আমরা নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে খুবই সচেতন, তাই প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগে নির্বাচনী প্রচারণা না করে দলের বর্ধিত সভা করে নির্বাচনী কাজে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। ১৪ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।