দখলমুক্ত রেল ট্রেনিং একাডেমির জায়গা

109

বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমি (আরটিএ) এর ৬৮ দশমিক ৩৯ একর জায়গার অধিকাংশই বেদখল। গতকাল সোমবার রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগের পক্ষ থেকে আরটিএতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এসময় প্রায় ৪৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে আরটিএর প্রায় ৩ দশমিক ৫ একর জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। তবে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেদখল থাকা ২৬ একরের পুকুরটি উদ্ধার করা যায়নি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভ‚-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজা পূর্বদেশকে বলেন, হালিশহরের আরটিএতে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। ৪৮টি স্থাপনার প্রায় ৩.৫ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এ জায়গাগুলো শাহ আলম নামে একজনের দখলে ছিল। এ জায়গাগুলো আরটিএ লিজ দিয়েছিল। এখনো বড় পুকুরটি দখল উচ্ছেদ করা যায়নি। দায়ের করা ৪০১৮/১৯ রীট মামলায় ছয় মাসের স্থিতিবস্থা থাকায় ২৬ একরের পুকুরটি উচ্ছেদ করা যায়নি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, জলাশয়, মৎস্য চাষ ও রক্ষণাবেক্ষণের নামে কিছু জায়গা লিজ নিয়ে আরটিএ’র বেশিরভাগ জায়গা দখলে নিয়েছিল ঠিকাদার মোহাম্মদ শাহ আলমের মালিকানাধীন সিলভার জুবলী লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানের নামে ২৫ দশমিক ৯০ একর জমি লিজ দেয় আরটিএ। প্রকৃতপক্ষে সেখানে বিশালকার জায়গা দখলে নেয় শাহ আলম।
স্থানীয়রা জানান, আরটিএ’র পক্ষ থেকে শাহ আলম জায়গাটি লিজ নিলেও তা দখলে রেখেছিল যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। বাবর এটিকে নিজের সা¤্রাজ্য বানিয়েছিল। অবসর সময়ে বাবর সেখানে গিয়ে ফ‚র্তি করতেন। কয়েক কোটি টাকা খচর করে সেখানে বাবর গড়ে তুলেছেন স্থাপনা। সাম্প্রতিক সময়ে চলমান ক্যাসিনো ইস্যুতে বাবর কিছুটা বেকায়দায় পড়লে এসব জায়গায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি নজর দেন। তারা ইতোমধ্যে কিছু জায়গা দখলেও নিয়েছেন। উচ্ছেদকালে কিছু জায়গা দখলমুক্ত হলেও এখনো আরটিএ’র বেশিরভাগ জায়গা বাবরের দখলে। আর বাবরের হাতছাড়া হওয়া জায়গাগুলোই মূলত রেলওয়ের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জায়গার দখলদার সম্পর্কে প্রধান ভ‚-সম্পত্তি কর্মকর্তা পূর্বদেশকে বলেন, জায়গাটি অন্য কেউ দখলে রাখলেও আমার জানা নেই। আমি অফিসিয়ালি যার নাম পেয়েছি তাকেই উচ্ছেদ করেছি।