দক্ষ ক্রয় ব্যবস্থাপনা কমাবে সরকারি ব্যয় : বিশ্ব ব্যাংক

31

দৃশ্যমান অগ্রগতির পরেও সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়িয়ে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের মান উন্নয়নের কেনাকানায় ব্যয় আরও কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংক আবাসিক প্রতিনিধি মারসি মিয়াং টেম্বন। গতকাল রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনার মূল্যায়ন নিয়ে এক কর্মশালায় এবিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেন। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, সরকারি ক্রয়ে বাংলাদেশের বছরে ব্যয় হয় প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলার, যা জাতীয় বাজেটের প্রায় ৪৫ শতাংশ। এই ব্যয়ের মাত্র এক শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করে চার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় বা আড়াই হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব। কার্যকর ও দক্ষ সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার জন্য শক্তিশালী সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন। বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনার জন্য
জোরদার সরকারি বাস্তবায়ন সংস্থা ও দক্ষ ক্রয় কমিটি থাকা দরকার। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ- প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি কর্তৃপক্ষ।
টেম্বন বলেন, ‘ক্রয় ব্যবস্থাপনা পরিবেশে উন্নতির জন্য গত একদশকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এখন আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি’।
কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে যৌক্তিক সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার চেষ্টা করছে। সেজন্য আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। কোনো লুকোচুরির আশ্রয় না নিয়ে খোলামেলা পরিবেশে মন্ত্রণালয়ের সবগুলো কাজ যেন হয়- সরকার সেজন্য সব ধরনের নীতি প্রণয়ন করবে’। খবর বিডিনিউজের
সরকারের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে ক্রয় প্রক্রিয়ার। যে কোনো একটি প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণেই মোটা অংকের টাকা খরচ হয়ে যায়। এর পরের ধাপে খরচ হয় ক্রয় প্রক্রিয়ায়। ক্রয় প্রক্রিয়াকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সেজন্য কর্মশালায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদেরকে গঠনমূলক পরামর্শ চান তিনি।