দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আ.লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত নতুন প্রার্থীর ছড়াছড়ি

112

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। গতকাল রাতে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থী তালিকা অনুমোদন করেন। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ছাড়া বাকিসব উপজেলাতেই নতুন প্রার্থীরা মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে প্রার্থী তালিকায় চমক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বাঁশখালীর সাবেক সাংসদ এড. সুলতান উল কবির চৌধুরীর বড় ছেলে চৌধুরী মো. গালিব সাদলী।
দলীয় সূত্র জানায়, আনোয়ারায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, পটিয়ায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, বাঁশখালীতে দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মো. গালিব সাদলী, চন্দনাইশে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এসএম নাজিম উদ্দিন, লোহাগাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, বোয়ালখালীতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল আলম মনোনয়ন পেয়েছেন। মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া।
এবারের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়ে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এলডিপির দুই নেতা। এর মধ্যে চন্দনাইশে দক্ষিণ জেলা এলডিপির যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী দুই বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ না দিলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের সভায় উপস্থিত হয়ে প্রার্থী হওয়ার জানান দিয়েছিলেন লোহাগাড়া এলডিপির সভাপতি জিয়াউল হক বাবুল। দুইজনই প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।


এর আগে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বনফুল গ্রæপের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব, লোহাগাড়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বাবুল, পটিয়ায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আনোয়ারায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, বোয়ালখালীতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল আলমের নাম একক প্রার্থী হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। চন্দনাইশ ও বাঁশখালীতে তিনজন করে প্রার্থীর নাম পাঠানো হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোয়েন্দা সংস্থার জরীপের ভিত্তি ধরে এবং তৃণমূলে জনপ্রিয়তা আছে এমন নেতাদেরকেই মনোনয়ন দিয়েছেন। যে কারণে শেষ মূহূর্তে কয়েকটি উপজেলায় পাল্টে যায় প্রার্থী বাছাইয়ের হিসাব নিকেশ। বিশেষ করে লোহাগাড়ায় ও চন্দনাইশে এলডিপির দুই সাবেক নেতাকে মনোনয়ন পাওয়ার খবর রটে যাওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। লোহাগাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী এলডিপি নেতা বাবুলের মনোনয়ন ঠেকাতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ধারস্থ হন। শেষতক বাবুলকে হটিয়ে মনোনয়ন ভাগিয়ে নেন খোরশেদ আলম চৌধুরী। বাঁশখালীতেও বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও শেষ মূহূর্তে এসে প্রার্থী হওয়ার জানান দেন সাবেক সাংসদ সুলতান উল কবির চৌধুরীর পুত্র চৌধুরী মো. গালিব।
বাঁশখালীতে মনোনয়ন পাওয়া দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মো. গালিব পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমাকে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব দাদা নিশ্চিত করেছেন। আমার বাবার মতো আমাকেও বাঁশখালীর মানুষের সেবা করার সুযোগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি নির্বাচনে জয়ী হলে আধুনিক উপজেলা গঠনে কাজ করবো।’
কক্সবাজারে প্রার্থী যারা : কক্সবাজার সদর উপজেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন কায়সারুল হক জুয়েল, পেকুয়ায় আবুল কাশেম, কুতুবদিয়ায় মো. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, মহেশখালীতে মোহাম্মদ হোছাইন ইবরাহীম, রামুতে রিয়াজ উল আলম, উখিয়ায় হামিদুল হক চৌধুরী, টেকনাফে মোহাম্মদ আলী মনোনয়ন পেয়েছেন।