দক্ষিণ আফ্রিকার জয় কেড়ে নিলেন উইলিয়ামসন-গ্র্যান্ডহোম

48

আশা জাগিয়েও জয়ের দেখা পেল না দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের অসাধারণ ব্যাটিং শৈলীতে খাদের মধ্য থেকে দলকে টেনে তুলে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
হারলেই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় এক রকম নিশ্চিৎ। এমন অবস্থা থেকে গতকাল কিউইদের বিপক্ষে জ্বলে উঠার কথা। কিন্তু দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যেন ব্যাটিংই ভুলে গেছেন তারা। টেনে টুনে কোনরকমে ৪৯ ওভারে ৬ ওভারে ২৪১ রান সংগ্রহের ঝুলিতে জমা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা টপকাতে কেন উইলিয়াম ও কলিন ডি গ্রান্ডহোমের ব্যাটিংই যথেষ্ট ছিল।
জয় পেতে নিউজিল্যান্ডের শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ১৪ রান। বোলিংয়ে আসেন লুঙ্গি এনগিদি। প্রথম বলেই গ্র্যান্ডহোমকে বিদায় করেন দেন। ব্যক্তিগত ৪৭ বলে ৬০ রান সংগ্রহ করে গ্র্যান্ডহোম ফিরে গেলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মিশেল স্যান্টনার। দ্বিতীয় বলে কোন রান নয়। তৃতীয় বলে এক রান নেন। চতুর্থ বলে রান নিতে পারেনি। পঞ্চম বলে এক এবং শেষ বলে চার, মোট ছয় রান আসে এই ওভারে। শেষ ওভারে জয় পেতে ছয় রান দরকার। স্ট্রাইকে স্যান্টনার। বোলার ফেলুকাইয়ো। প্রথম বলে এক রান নিয়ে স্যান্টনার স্ট্রাইকে দেন উইলিয়ামসনকে। দ্বিতীয় বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে প্রোটিয়াদের কাছ ম্যাচ ছিনিয়ে নেন উইলিয়াম। সাথে তুলে নিতে ভুল করেননি এবারের বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরিও। তৃতীয় এক রান তুলে জয়ে মাতেন নিউজিল্যান্ড। হাতে অবশিষ্ট রাখেন তিন বল ও চার উইকেট। কেন উইলিয়ামসন ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে অন্যদের মধ্যে গাপটিল ৩৫ এবং জেমস নেশাম ২৩ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ফেলুকাইয়ো তিনটি, লুঙ্গি এনগিদি দুটি এবং কাগিসো রাবাদা একটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৪৯ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরে জমা করে ২৪১ রান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন কুইন্টন ডি কক। ৫ রানে এই উইটেকরক্ষক বোল্ড হওয়ার পর সতর্ক ব্যাটিং করেছেন হাসেম আমলা ও ফাফ দু প্লেসি।
কিউইদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে উইকেট না হারিয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করে গেছেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান। মন্থর ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগও করেন তারা। কিন্তু ফার্গুসনের আঘাতে দু প্লেসির স্টাম্প ভাঙলে শেষ হয় তাদের প্রতিরোধ। ৩৫ বলে ২৩ রান করে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক।
এরপর এইডেন মারক্রামকে নিয়ে আবারও এগিয়ে চলেন আমলা। ৫২ রানের জুটি গড়ার পথে এই ওপেনার পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। যদিও ফিফটি করার পর বেশিদূর যেতে পারেননি। ৮৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৫৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আমলা। ভালো শুরু করে মারক্রামও টিকতে পারেননি। ৫৫ বলে ৩৮ রান করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার তিনি।
তবে নিউজিল্যান্ড বোলাররা আউট করতে পারেননি ডাসেনকে। ৬৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় কার্যকরী ৬৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গে ডেভিড মিলারের ৩৭ বলে খেলা ৩৬ রানের ইনিংসটাও প্রোটিয়াদের ২৪১ পর্যন্ত যাওয়ার পথে ছিল বড় সহায়ক। আজ বিকাল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে।