থানায় অভিযোগের পরও পটিয়ায় গরু চুরি থামছে না

28

পটিয়ায় আলোচিত গরু চুরির ঘটনায় প্রকৃত চোরদের গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া গরু উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন চুরি হওয়া গরুর মালিক আহমদুল হক। গতকাল বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আল্ ওয়ালী এগ্রো ফার্মের মালিক আহমদুল হক আনোয়ার এ দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নে তাদের নিজস্ব খামারে গরু মোটা তাজা করে বিক্রির উদ্দেশ্যে ২৩টি ষাঁড় তোলা হয়। তারা আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে গত ২৫ মে ১৪টি গরু ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকায় মৌখিক চুক্তিতে ক্রয় করেন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু গত ঈদের আগের দিন আরো সাড়ে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে না পারায় আবদুর রাজ্জাকের ছেলে সাহেদের সাথে খামারিদের বাকবিতন্ডা হয়। ঈদের পর দিন রাতেই খামারের ১২ লাখ টাকার মুল্যের ৬টি ষাঁড় গরু চুরি হয়। বিষয়টি খামারিরা থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ ইসহাককে আটক করে। নৈশপ্রহরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে রাতে ৬টি গরু আবদুর রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ি করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে নৈশ প্রহরী ইসহাক ও গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদ কারাগারে রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আল ওয়ালী খামারের অংশীদার এস এম হারুনুর রশিদ, ছৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সাল ও তারেক হোসেন।