থানচিকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে পরিণত করা হবে

14

 

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছে, পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনাময় থানচিকে একটি মডেল উপজেলায় রুপান্তরিত করতে সকলের সহযোগীতা আহবান জানান। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা হচ্ছে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জেলা। বান্দরবানের আবার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ উপজেলা হচ্ছে থানছি উপজেলা। বান্দরবানের ৭টি উপজেলার মধ্যে আগামীতে থানছিই হবে একমাত্র মডেল উপজেলা। বান্দরবান জেলাটি পর্যটন শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলেও পর্যটকদের জন্য থানচিই হচ্ছে জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও পছন্দনীয় উপজেলা। যার জন্য সম্ভাবনাময় এ উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসাবে পরিণত করতে প্রশাসনের উপর স্থানীয় জনগণকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে হবে। সম্ভাবনা, সমস্যা ও চাহিদা মোতাবেক আপনাদেরকে সহযোগিতা দিতে অত্র এলাকা জনগনের জন্য জেলা প্রশাসক ও থানচি উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের দরজা দিন-রাত খোলা থাকবে। গত বুধবার থানচি উপজেলা পরিষদ মিলনায়নতনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে থানচি উপজেলা সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারী দপ্তরে কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভায় আয়োজন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউল গনি ওসমান সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা, ভাইস-চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা পকশৈ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুমেপ্রæ মারমা, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অলসেন ত্রিপুরা, রেমাক্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেনার্ডিষ্ক ত্রিপুরা, কৃষি ব্যাংক থানচি শাখা ব্যবস্থাপক অসিপ হাসান প্রমুখ। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ২০-২১ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী থানছি উপজেলা সফরে তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন, (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ছক মোতাবেক পরিদর্শনে যাবেন, থানচি থানা, ১টি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়, ভূমি অফিস, ১টি ইউনিয়ন পরিষদ, দুইটি হেডম্যান কার্যালয়, আশ্রায়ন প্রকল্প, এনজিও অফিস, গণশুনানী গ্রহন করবেন।