থাইল্যান্ডের নির্বাচন : সরকার গঠন করতে পারে সেনাসমর্থিত দল

28

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া নির্বাচনের ফলাফলেও থাইল্যান্ডের সেনাসমর্থিত দলই সরকার গঠন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোটের ছয় সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার দেশটির নির্বাচনে কমিশন সমানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্ধারিত ১৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে। এতে পালাং প্রাচা রথ পার্টি (পিপিআরপি) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার মতো সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সরকার গঠনের জন্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে সামান্য কম পেলেও সমমনা ছোট কয়েকটি দলের সমর্থন নিয়ে তারা সহজেই এই বাধা টপকাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের এবারের নির্বাচনেও অনিয়ম ও বিলম্বে ফল ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরলেও সামরিক বাহিনীই যেন প্রভাবশালী থাকে সেজন্য সংবিধান সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে, বলছেন সমালোচকরা।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির রাজনীতিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতা নিয়ে নানামাত্রিক রেষারেষি থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও সেনাসমর্থকদের মধ্যে বিরোধই এখনও প্রধান। ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত ভোটে কোনো দলই ৫০০ আসনবিশিষ্ট নিম্নকক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি বলে জানিয়েছে থাই নির্বাচন কমিশন। সামরিক জান্তার হাত ধরে হওয়া নতুন সংবিধানে উচ্চকক্ষের আড়াইশ আসনও কার্যত সেনাসমর্থিত দলগুলোই পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উভয় কক্ষ মিলে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবে। সেনাসমর্থিত দলগুলোর প্রভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাই ফের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলেও মনে করা হচ্ছে। সাবেক এ জেনারেলই ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে উৎখাত করেছিলেন।