ত্যাগ স্বীকারই হল একজন রাজনীতিকের শুদ্ধ গুণাবলী

60

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ত্যাগ স্বীকারই হল রাজনীতি। ভোগ বা অর্থ-বিত্তের প্রতি লালসা রাজনীতি হতে পারে না। কি পেয়েছি, কি পেলাম না এই হিসেবে-নিকেশ রাজনীতির জন্য অর্থহীন। কি দিতে পেরেছি, কি করতে পেরেছি এটাই হল একজন রাজনীতিকের মূল আদর্শিক চেতনা। তিনি ১৮ জানুয়ারি নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার, ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের দু:সময়ের কান্ডারী মরহুম জননেতা আবুল কালামের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি মরহুম আবুল কালামে প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, আমৃত্যু তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন দর্শনের অনুসারী ছিলেন। তিনি কখনো পদ-পদবীর জন্য প্রার্থী ছিলেন না। সবচেয়ে বড় কথা বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা, দলীয় নীতি-আদর্শের প্রতি একাগ্র আনুগত্য এবং দলের নেতাকর্মীদের প্রতি গভীর আস্থার কারণে তিনি একজন বড় মাপের শুধু রাজনীতিকই না, তিনি সৎ সমাজ সংস্কারক হিসেবে সামাজিক প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যখন একটি প্রতিকূল সময়ে চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা দূরে সরে গিয়েছিলেন। সে সময় আবুল কালাম সওদাগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আমি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক সাহস যুগিয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা হলো সেদিন আমাদের মধ্যে পদের জন্য প্রতিয়োগিতা ছিল না। আমরা যে যার অবস্থান থেকে দলের জন্য কাজ করেছি। আবুল কালাম সওদাগর আমার পিতা জহুর আহমদ চৌধুরীর একজন শিষ্য হিসেবে কঠিন সময়ে দলের জন্য নিবেদিত ছিলেন। নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভালবাসায় তিনি সকলের মন জয় করতে পেরেছিলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, আলহাজ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুুদ হাসনী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বাবু চন্দন ধর, নির্বাহী সদস্য মো. আবুল মনছুর, আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, প্রয়াত নেতার সন্তান ও দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু তৈয়ব ছিদ্দিকী। স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শেখ মো. ইসহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, হাজী জহুর আহম্মদ, আবদুল আহাদ, আবু তাহের, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য হাজী মো. এয়াকুব, সৈয়দ আমিনুল হক, জাফর আলম চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দিন খান, থানা আওয়ামী লীগের আলহাজ ফিরোজ আহমেদ, হাজী সুলতান আহমেদ চৌধুরী, হাজী সিদ্দিক আলম, এম এ হালিম, এ এস এম ইসলাম, মুজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী আলতাফ হোসেন, মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী আলী বক্স, হাজী নুরুল আমিন, এস.এম আলমগীর, আবদুল হান্নান, হাজী আবদুর রহমান, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, মো. ইসকান্দর মিয়া, আবদুল মান্নান, মিথুন বড়–য়া, জামাল উদ্দিন, আবদুস শুক্কুর ফারুকী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, ফয়েজ উল্লাহ বাহাদুর, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, মো. জসিম উদ্দিন, খালেদ হায়াত খান মাসুদ, লুৎফুর হক খুশি প্রমুখ। সভার শুরুতে প্রয়াত নেতা আবুল কালাম সওদাগরের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন মো. শিহাব উদ্দিন। বিজ্ঞপ্তি