ত্যাগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

63

চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে এমএ লতিফ এমপির উদ্যোগে আগ্রাবাদস্থ পুরাতন চেম্বার হাউজ মিলনায়তনে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল ১১টায় আয়োজিত স্মরণসভায় চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি এমএ লতিফ বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩ বার নির্বাচিত মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর মত ত্যাগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। বর্তমান প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের কাছে তিনি অনুকরণীয় আদর্শ। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধিবাসীদের স্বার্থরক্ষায় পরবর্তী মেয়রদের তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিত।
দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনস্বার্থে তাঁর অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে মেয়র থাকাকালীন তিনি জনকল্যাণমূলক যেসব কাজ করে গেছেন। তার জন্য চট্টগ্রামবাসীর কাছে তিনি চট্টলবীর হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মহানগর আওয়ামী লীগের অভিভাবক হিসেবে তার মত সফল সংগঠক আর পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।
আগ্রাবাদ জামে মসজিদ খতিব ও পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার শহীদ পরিবার, মহিউদ্দিন চৌধুরী, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত করা হয়।
৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হোসেন মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাহবুবুল হক মিয়া, শেখ মাহমুদ ইসহাক, জহির আহম্মদ চৌধুরী, হাসান মুরাদ, হাজী হাসান, আব্দুল বারেক, মো. ইসকান্দর, কাউন্সিলর গোলাম মো. জোবায়ের, সালাউদ্দিন ইবনে আহমেদ, আলী আকবর, শাহাদাত হাসান, মাহাবুবুল হক এটলি, নায়েবুল ইসলাম ফটিক, মো. নজরুল ইসলাম, মো. সালাউদ্দিন, মাইনুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন রাজু, আকতার হোসেন, ইমতিয়াজ হোসেন বাবলা, মো. ইকবাল।