তোরণ ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে আনোয়ারা-কর্ণফুলী

103

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দক্ষিণ চট্টগ্রামে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা ফিরিয়ে আনায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় সংবর্ধনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার লোকজন। দৌলতপুর কেইপিজেড গেইট এলাকায় তাকে সংবর্ধনা দিতে ব্যাপক আয়োজন ও বরণের নানা কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ আর প্যান্ডেল। নারীদের বসার জন্য আলাদা স্থান এবং অনুষ্ঠানের যাবতীয় আয়োজন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নেতৃবৃন্দ কাজ করছেন।
গণসংবর্ধনা উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সভাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এ সময় কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক চৌধুরী এবং আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক সাংবাদিকদের জানান, দুই উপজেলার নেতৃবৃন্দ মিলেমিশে একই প্যান্ডলে এবং একই মঞ্চে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে বরণ করে নেবেন। সে লক্ষ্যে যৌথভাবে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে গত ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে ভূমিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করা হলেও
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তিনি তা নেননি।
কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সোলাইমান তালুকদার জানান, পরবর্তীতে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার উদ্বেলিত জনসাধারণের অনুরোধে ভূমিমন্ত্রী সংবর্ধনা নিতে রাজি হয়েছেন। যাতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা এবং জনদুর্ভোগ না হয়, সেভাবে আয়োজনের পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক চৌধুরী জানান, মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রতিটি সড়ক তোরণ আর ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তাকে শোভাযাত্রা সহকারে বরণ করা হবে। নেতাকর্মীদের দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হচ্ছে। অতিথিদের তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ও সংগঠন ছাড়া অন্যদের ফুলের তোড়া প্রদানে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, দীর্ঘদিন দক্ষিণ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী ছিলো না। আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবু দলের অসময়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন। দুর্দিনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে ছিলেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ পুত্রকে পূর্ণমন্ত্রী করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মন্নান, চেয়ারম্যান ইয়াছিন হিরু, এম এ কাইয়ুম শাহ, অসীম কুমার দেব, জাফর উদ্দিন বিপি, মোহাম্মদ সেলিম, শওকত ওসমান, স্বাগতিক বড়উঠান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মন্নান খাঁন, যুবলীগ নেতা আবিদ হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ।