তৃণমূল ফুটবলে আরও জোর দিতে চান স্মলি

25

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর হিসেবে আবারও নিয়োগ পেয়েছেন ইংলিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান পল স্মলি। আগামী দুই বছর দেশের ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করবেন তিনি। নতুন মেয়াদে বাফুফের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৃণমূল ফুটবলে আরও জোর দিতে চান স্মলি। ২০১৬ সালে প্রথমবার বাফুফে নিয়োগ দিয়েছিল স্মলিকে। তিন বছর বাংলাদেশের ফুটবলে কাজ করে মাঝে সময় কাটিয়েছেন ব্রæনাইতে। আবারও তিনি ফিরেছেন বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব পেয়ে স্মলি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল ফুটবলে, ‘আমি আধুনিক ও যুগোপযোগী পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি, যা ছিল দৃশ্যমান। যে উপায়ে কাজ করলে ফুটবলের উন্নয়ন হবে, সেসব ক্ষেত্রে কাজ করেছি। তবে এটাও দেখতে হবে পাশের দেশগুলোর চেয়ে ফুটবলে আমাদের বাজেট কম ছিল। এ কাজে ধারাবাহিকতাও দরকার ছিল, কিন্তু তাও হয়নি। তবু তৃণমূল ফুটবলে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। ভবিষ্যতে এ কাজে আরও মনোযোগ দিতে হবে।’
দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব পেয়ে খুশি স্মলি, ‘ব্রæনাইতে আমার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর আমার হৃদয়ে সবসময় ছিল বাংলাদেশ। এখন এই দেশের ফুটবলে আবার অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছি। আমি বেশ শিহরিত যে বাফুফে সভাপতি, টেকনিক্যাল কমিটি ও কার্যনিবার্হী সদস্যদের দেওয়া একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।’
টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বে চ্যালেঞ্জ থাকলেও বেশ উপভোগ করেন তিনি, ‘বাংলাদেশে এসে প্রথম ধাপে যা কিছু করেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এখনও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল ও আরও বড় পরিসরে অনেক কাজ করা বাকি আছে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পক্ষে সবকিছু করা অসম্ভব। আমি অজুহাত খুঁজছি না, কিন্তু অনেক সময় অনেক ভূমিকায় কাজ করতে হয় টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে। তবে আমি বলব এ কাজটা আমি বেশ উপভোগ করি।’
ফর্টিজ ফুটবল একাডেমির কার্যক্রম এখন বন্ধ আছে। একাডেমির বিদেশি কোচদের সঙ্গে চুক্তিও নবায়ন করা হয়নি। তবে স্মলি মনে করছেন, ‘যুব ফুটবলে রাতারাতি উন্নতি করা সম্ভব নয়। এজন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হবে, টাকা-পয়সাও খরচ করতে হবে। তরুণদের জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আমরা যে কাজ শুরু করেছিলাম, তা ছিল সত্যি প্রশংসনীয়। আর যে সব বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তা তাদের যোগ্যতা আর দক্ষতার ভিত্তিতেই ছিল।’
আগের মেয়াদে মেয়েদের ফুটবলে জোর দিয়েছিলেন স্মলি। সাফল্যও এসেছে। মেয়েদের ফুটবল প্রসঙ্গে তার কণ্ঠে ঝরলো প্রশংসা, ‘মেয়েদের ফুটবল এ মুহূর্তে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার দিক বিবেচনায় মেয়েদের ফুটবলে অনেক সুযোগ রয়েছে। এজন্য মেয়েদের ফুটবলে অনেক সময় দিতে হয়েছে এবং বেশ সাফল্য পেয়েছিলাম। তবে আমি বলব আমার সবসময়ই কাজের প্রতি একাগ্রতা রয়েছে। তাই ফুটবলের উন্নয়নের জন্য টেকনিক্যাল দিক দিয়ে আমি সর্বোচ্চটা দিতে চাই।’