তৃণমূলের মতামতেই প্রার্থী দেবে আ.লীগ

41

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতেই প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ। তৃণমূল থেকে নাম আসার পর ক্ষমতাসীন দলটির স্থানীয় সরকার বোর্ড সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের মতামত নিয়ে প্রার্থী মনোনীত করবে।
এরই মধ্যে সারাদেশের জেলা কমিটিকে উপজেলায় মনোনয়নের জন্য সর্বোচ্চ তিনজনের নাম পাঠানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র আরো জানায়, গত শনিবার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত চিঠি জেলা কমিটিগুলোকে পাঠানো হয়েছে। এতে জেলা-উপজেলা কমিটিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজনের নাম উল্লেখ করে কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে তিনজনের নাম চেয়ে তৃণমূলে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী মার্চ থেকে কয়েক ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার রেওয়াজ শুরুর পর থেকে আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে আসছে।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আগ্রহী নেতারা। তারা দলের প্রভাবশালী নেতাদের বাসা ও অফিসে যাচ্ছেন এবং তদবির করছেন। এমনকি দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখাও করছেন কেউ কেউ। সম্প্রতি রংপুরের একটি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করেন। তিনি দলীয় প্রধানের কাছে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, যোগ্য, জনপ্রিয়, ত্যাগী এবং দলের জন্য দরদ দিয়ে কাজ করেন এমন নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে উপজেলা নির্বাচনে। দল ও সংগঠনকে জনগণের কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় করতে যারা কাজ করেছেন, তারা মনোনয়নে অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু এর আগে যারা এ পদে নির্বাচিত হয়ে দুর্নীতি করেছেন, স্বজনপ্রীতি করেছেন কিংবা দলীয় নেতাকর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজ করেছেন, তারা এবার মনোনয়ন পাবেন না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান জানান, উপজেলায় মনোনয়নের ক্ষেত্রে যোগ্য, জনপ্রিয় নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সরকার একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। উপজেলা চেয়ারম্যানরা হবেন এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। যে কারণে আমাদের দল এ পদের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যোগ্য শিক্ষিতদের বেছে নেবে। তবে, তাদের হতে হবে দলের জন্য ত্যাগী এবং জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে সম্পৃক্ত। কেননা দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলে এসেছেন, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি এর তৃণমূল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, দলকে জনগণের কাছে জনপ্রিয় করতে। যারা এসব বিবেচনায় এগিয়ে থাকবেন, তারাই মনোনয়ন পাবেন।