তুর্কি অভিযান নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া ভুল তথ্য দিচ্ছে : এরদোয়ান

34

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের অভিযান নিয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। সোমবার তুর্কি কাউন্সিলের সপ্তম সম্মেলনে অংশগ্রহণের আগে ইস্তানবুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এই অভিযোগ করেন তিনি।৭ অক্টোবর সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানের ঘোষণা দিয়ে ৯ অক্টোবর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ‘পিস স্প্রিং অপারেশন’ শুরু করে আঙ্কারা। অভিযানের অংশ হিসেবে তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ইউফ্রেতাসের পূর্বদিকে প্রবেশ করে। তুর্কি অভিযানে সহযোগিতার জন্য তারা অগ্রসর হচ্ছে। পরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় অভিযানে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করে তুরস্ক। এতে তিন শতাধিক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আঙ্কারা। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, এ অভিযানে ৩৮ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে এরদোয়ান বলেন, ‘তারা (বিদেশি সংবাদমাধ্যম) সবসময় একই কৌশল ব্যবহার করে। আমরা সত্য বলার চেষ্টা করবো।’ সোমবার সকালে সীমান্তবর্তী শহর তেল তামেরে সিরিয়ার সেনাবাহিনী প্রবেশের বিষয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোবানিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে আমি কোনও সমস্যা দেখিনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও এ ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।’ এর আগে কুর্দি নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ার উত্তরে তুরস্কের অভিযান প্রতিরোধ করতে কুর্দি যোদ্ধাদের সহায়তায় সীমান্তে সরকারি সেনা মোতায়েন করছে দামেস্কো। সিরিয়া সরকারের সঙ্গে তাদের একটি সমঝোতা চুক্তির পর ওই সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মূলত সিরিয়ার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’র (এসডিএফ) কেন্দ্রীয় বাহিনী কুর্দিস পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস’র (ওয়াইপিজি) বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক ও তার মিত্র ন্যাশনাল আর্মি। আঙ্কারা বলছে, ওয়াইপিজি একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন, যাদের সঙ্গে তুরস্কের কুর্দি বিদ্রোহীদের সংযোগ রয়েছে। তিন দশক ধরে তুরস্কের কুর্দি অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য লড়ছে ওই সংগঠন। উত্তর সিরিয়া থেকে কুর্দি যোদ্ধাদের বিতাড়িত করে সেখানে একটি সেফ জোন প্রতিষ্ঠা করে সিরীয় শরণার্থীদের বসবাসের ব্যবস্থা করতে চায় তুরস্ক।