তুঁই ক্যাঁন আছো ? তুঁই চলোর ক্যাঁনে ?

61

আবদুল হাই

গত রোববার অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল। মোবাইল ফোনের শব্দ। তখন তারাবীর নামাজ শেষ। ফোন ধরলাম। হ্যালো বলতেই অপর প্রান্ত থেকে মোলায়েম বাক্য-ক্যাঁন আসো ? বালা আসোনি ? খুব পরিচিত কণ্ঠের পরিচিত লোক। তাই, কোন পরিচয় জানতে হয়নি। আমি সরাসরি উত্তর দিলাম, আলহামদুল্লিলা, বালা আসি। পাল্টা প্রশ্ন করি অ-নে ক্যাঁন আসোন। তিনি বলেন, ‘বালা আসি’ করুণ কণ্ঠে আবার বলেন ইক্কিনী দোয়া খৈইরজ্জো। আমি বল্লাম ‘খোনো খতা আসেনি’ ? তিনি বলেন, না এ্যাঁনে ইক্কিনী খবর লইদ্দে অ্যারি; ক্যাঁন আসো? মনটা আলগাশক্তি পেয়ে চাঙ্গা হয়ে ওঠলো। এযেন আমার জন্য একটা অনন্য প্রাপ্তি। সুুদীর্ঘ রাজনীতির (১৯৭০ থেকে ২০২০) জীবনে পাওয়ার মধ্যে এটাই যেন পরম পাওয়া। আমার মন তাই বলে। খুব যতœ করে এই প্রাপ্তিকে আত্মস্থ করে রাখলাম। তাঁকে আবারও আশীর্বাদ। আল্লাহভালো রাখুন তাঁকে তাঁর পরিবারভুক্ত সবাইকে। ও হেঁ তার নামতো বলা হয়নি। পাঠক বন্ধুরা উনি আমার খুব কাছের লোক, আমার পড়োশী বলা যায়। চারবার নির্বাচিত ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বর্তমান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জহিরুল আলম দোভাষ। দেশময় এ্যায়া নাপসীর সময়। মনে হয় কেয়ামতের মাঠ। কারো খোঁজ খবর কেউ নিচ্ছেনা। চাচা আপন জান বাঁচা। তরপরও একটু অন্তরজ্বালার অভিব্যক্তির মাধ্যমে মুখ থেকে নিসৃত একটি সংক্ষিপ্ত বাক্য ‘ক্যান আসো’? রাজনীতি করতে গিয়ে কত সভা সমাবেশে গেলাম কত মিছিলে গিয়ে জিন্দাবাদ আর জয়ধ্বনিতে মুখের ফ্যানা উড়িছিলাম। তুঁই ক্যান আসো? জিজ্ঞেস করার কাউকে পেলাম না। তাহলে রাজনীতি কি রাজারমতো জীবন যাপনে অভ্যস্ত হবার নীতি নাকি নীতির রাজা হবার চর্চা করা। কোন দলের জন্য নয় দেশের এই চরম মুহূর্তে বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো তাদের ভালো মন্দ খোঁজ খবর নেয়া অর্থাৎ ‘তুঁই ক্যান আসো’? প্রাণশীতল করার মতো মায়াময়ীতা প্রদর্শন, এধরনের আচরণ অনুশীলন হচ্ছে রাজনীতি বা নীতির রাজ। প্রচার বিমুখ এমানুষটা যখন সিডিএ এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন তখন বসন্তের কোকিলের যথেষ্ট আনাগোনা দৃশ্যমান হয়। এখন অজ্ঞাত কারণে এসবের ভিড় তেমন নেই বললে চলে। তবে আমি তাঁকে তেমন বিরক্ত করতে অভ্যস্ত নই। তাঁকে শুধু মাঝে মধ্যে ভালোবাসায় সিক্ত করতে আমার আসা যাওয়া। দেশের এদুর্যোগময় মুহূর্তে স্বীয় গরজে পড়োশীদেরকে অত্যন্ত গোপনীয়তা সংরক্ষণ করে তিনি বেশ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন তা আনুষ্ঠানিকতা বিবর্জিত এবং ক্যামরাবন্দিও হয়নি। তাঁর এ গোপনীয়তা উন্মুক্ত করার ব্যাপারে ক্ষমাপ্রার্থী।
চলমান দৃষ্টিকটূ ট্রেডিশনকে রুখে দিতে কিঞ্চিত প্রচারণা। ‘তুঁই ক্যান আছো’ ? এরপরও আমাদের দু’জনার মধ্যে কিছু যে দেয়া-নেয়া হয়নি তাও নয়। উনি আমার কাঝো দোয়া চেয়েছিলেন আমি মনখুলে দোয়া করেছিলাম। আবার এর বিপরীতে আমিও দোয়া চেয়েছিলাম উনিও আমাকে দোয়া করেছেন। এই পারস্পরিক দেওয়া নেওয়া ক্যামরাবন্দি না হলে সেদিন থেকে আমি আমার অন্তরবন্দি করে রাখলাম কৃতজ্ঞতার স্পর্শে। আমি ওনার অত্যন্ত কাছের মানুষ হলেও একটু দূরত্ব বজায় রেখে চলি। তা কিন্তু নিতান্তই আভ্যন্তরিণ বিষয়। উনি চউক চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর একান্ত স্বাক্ষাৎকারে উনাকে ঐরময খরমযঃ করে পত্রিকার পাতায় একটা নিবন্ধ লিখতে অনুমতি চেয়েছিলাম উনি বললেন এখন না ঈদের পর অর্থাৎ গত ঈদের পর। উনার হালকা পাতলা সম্মতিতে অনাগ্রহ বিবেচনা করে তা আর হয়ে উঠেনি। এতে বড়ো একটা পদপদবী পেলে কত ধুম ধাম কত সংবর্ধনা কতো আয়োজন কত সাজ সজ্জা কত বক্তব্যের ফুলজুরি হবার কথা। বিলবোর্ড আকারে আলিশান আলিশান ছবি জুড়িয়ে কর্মবীররুপে উপস্থাপন হবার কথা। এসবের কিছুই যে হয়নি। কেন হয়নি কিজানি ? তুঁই ক্যাঁন আসো কে যদি প্রকৃত বাংলাভাষাতে পরিবর্তন করা হয় তা হবে ‘তুমি কেমন আছো’ এই শিরোনামে বিখ্যাত লেখক আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক বুদ্ধদেব বসু একটি ছোট গল্প লিখেছিলেন। গল্পটি হাতের কাছে নেই। শুরুটার কয়াদাংশ আজো অত্মস্থ আছে। ‘বার বার জানতে ইচ্ছা করে তুমি কেমন আছো ? যখন দাঁড়ি কামাই তখন অন্য কথা ভাবি। কয়েক বডগা ব্রাÐি গেলার পর যখন সময়ে ভার নামে যখন আয়নার মুখোমুখি হই তখন নিজেকে নিজে প্রত্যক্ষ করে মুখ ব্যাংগাতে ইচ্ছে করে তখনও বার বার জানতে ইচ্ছে করে ‘তুমি কেমন আছো’ ? আয়নার পাশে দাঁড়ালে নিজেকে দারুন বিশ্রী দেখায় তারপরও ভাবি আমার খালি দেহটা একটা মেদ মাংসের ময়লার পিÐ। দর্জিরা কত সুদর্শন কাপড় মুড়িয়ে দর্শনোর আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলেছে আসলে আমি এবং আমার ভিতরকার যেন অন্যমানুষ। যখন ১০০ মাইল বেগে সস্ত্রীক গাড়ী চালাই তখন আমার স্ত্রী জানেনা কোন অজ্ঞাত শত্রæর পাশে আমার মিলি উর্মিলা। তারপর দীর্ঘ শ্বাস ফেলে জানতে ইচ্ছে হয় ‘তুমি কেমন আছো’? সারাটি জীবন অত্যন্ত গোপনে কোন লালিত স্বপ্নের কাউকে মনে মনে বার বার আউড়িয়ে গেছেন ‘তুমি কেমন আছো’? আমার জীবনে এক আধটু রং লেগেছিলো। হালকা দক্ষিণা হাওয়া বয়েছিলো। তাই গল্পটা বার বার পড়তে ভালোলাগতো। এ নিরস বুড়ো বয়সে যখন চুল দাঁড়ি পাকবার বাকী নেই হঠাৎ করে তুঁই ক্যান আসো ? তুমি কেমন আছোতে রূপান্তরিত হলে দোষের কিছু না। আমাদের দাম্মাপুকুর পাড়ে বসবাসকারী আমার বৃদ্ধ দাদাকে পাশে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাস করতাম ‘অ-দাদা কি খবর? দাদার একটি উত্তর বে খবর। যখন জিজ্ঞাস করতাম অ-দাদা, জরিনা ক্যাঁন আছে। দাদার মুখে তৃপ্তির হাসি। তখন ক্ষীণ কন্ঠে বলতো হিতি কন্ডে? হিতি বালা আসেনি ? এক্কেনা আইসতো খৈ-উনা। ব-অর ফেট পুড়েরের। আসরে প্রেমশ্বাশত। প্রেমের বাণী চিরন্তন। ভাললাগা থেকে ভালবাসা। ভালবাসার প্রকৃত অর্থ প্রেম নয়। ভালবাসাকে যদি মমত্ববোধের অভিব্যক্তির বন্ধনে আঁকড়িয়া রাখা যায় তা যেন হৃদয়ের মহৎ প্রকাশ। তুঁই ক্যান আসো? এটা যেন এমন একটা প্রকাশের সৌজন্যবোধ। এখন আলাপ সালাপে জানতে চাওয়া হয় কি অবস্থা ? জনৈক অজ্ঞাত ভদ্রলোক হঠাৎ আমার মোবাইলে ফোন করে বলেন, অডা ক্যান আসোছ ?
আমি কিছু বুঝো ওঠার আগেই আবার বাক্যচুড়ে বলে ওঠে, ‘অভাই, কি অর লাই ফোন গেইলাম বুইঝ্যোাসনা, অভাই এমাসোত তোর ট্যাঁয়াগুন দিত ন-অ ফাইলাম। আইয়েরদে মাসোত দিই ফেইল্লোম। কিছু গরহফ ন-অ গরিছ। আমি ফাঁকফোর দিয়ে একটু কথার জায়গা করে নিয়ে বললাম অবদ্দা অ-নে কারে ফোন গৈইজোন দে-ক্যান অ-ডা এতো অ-নে গরি কি খোতি চাউর। অভাই, গোস্সা না হইউচ ফানলার তুই, বৈইদ্দা না-য়না? আমি বল্লাম, আঁইব বৈইদ্দা না-অয়। লোকটি বলে, অ-বাইজ্জাকোদা, এতোক্ষণ খতা খৈতে খৈতে মোবাইলের পৈইসা বেয়া¹ুনের ১২টা বাজাই দিলাম। লোকটার তুই ক্যাঁন আসোছ শেষমেষ তার মোবাইল কার্ডের বারোটা বাজিয়ে দিলো।
একমেয়ে শ্বশুরালয় থেকে টেলিফোন করে ভুলক্রমে আমার মোবাইলে। মেয়েলোকটা কথা বলবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যারেকেেলস। শুরুতেই বলে ‘অবাবা ক্যাঁন আসো? খতা ফুনো শনিবার দিন তোঁয়ার বেয়াইন হুদ্দা আঁরা আইর। আঁর মারে খৈইউ। আমি কিছু বলার আগেই মোবাইলটা বন্ধই করে দিলো। এরপর ঘটনা কোথাই গিয়ে ঠেকবে মনে করেন ?
মাঝখানে দেশে একটা কথার বেশ প্রচলন ঘটেছিলো এই কথা অনেক শ্রবণকটূ ছিলো যা নিয়ে বেশ বাকযুদ্ধ হতে দৃষ্টি গোচর হয়। অ-ডা ক্যান আসোস তুই। চলোর ক্যাঁনে ? আঁই চলির ক্যাঁনে হিবা খবর লইন্যা তুই কনরে বেড়া ? তোর কাছে মাইগদাম গৈইনারে বেডা ? ইত্যাদি ইত্যাদির মাধ্যমে পাড়া মহল্লার মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত বিবাদ লিপ্ত হতে দেখা গেছে।
আজকের লক্ ডাউন অবস্থায় ‘তুই চলোর ক্যাঁনে ? উত্ত্যক্ত হবার মতো কোন বাক্য নয়। হয়ত বা চলমান পরিস্থিতি বর্ণনাপূর্বক মানুষ লক্ ডাউনে কেমন চলছে গরগর করে বলতে বো-ধহয় দ্বিধা করবেনা জীবন জীবিকার চলমান অবস্থা কেমন ? সরকার হাতখুলে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে চলেছে। পত্রিকা সূত্রে জানাযায় বাঁশখালীর সাধনপুরে ৩০ জন অসহায় গরীবের ত্রাণের চাল আত্মসাৎ করার খবর, পেকুয়ার টইটং ইউপি বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ১৫ টন ত্রাণের চাল আত্মসাৎ হাটহাজারীতে ২নং ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর বাজারে মুদির দোকানে টিসিবির ২২৭ লিটার সোয়াবিন তেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়ছে সেসনজট। পরিবহন বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট শ্রমিক মালিক দারুন অর্থ সংকটে। ভাড়াটিয়ারা ঘরভাড়া দোকান ভাড়া পরিশোধ করতে পারছে না। ঘরের মালিকরা অর্থসংকটে। মানুষের জীবন জীবিকা সুরক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি। ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তারাবি বন্ধ থাকায় ইমাম মুয়ািজ্জনের মাথায় হাত। জু¥মার নামাজ, পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে নগন্য সংখ্যক মুসল্লির জামাত। সাধারণ শ্রমিক দিনমজুরের কাজ বন্ধ, রিক্সা, রিক্সাভ্যান, সিএনজি টেক্সি বন্ধ, দুরপাল্লার বাস ট্রেন বন্ধ, আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ। বহিঃবিশ্বের সঙ্গে কাজ কারবার বন্ধ, পোশাক শিল্পের অর্ডারপাতি নেই, নেই কোন শিপমেন্ট। এই স্থবিরতা, এই হাতমুটে আবদ্ধ পিঞ্জিরায় আর কত বন্দিপাখীর মতো অবস্থান করা যায়? মাঝে মধ্যে মনটা আনচার করে ওঠে। মন বলে, থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে। দেখবো এবার জগৎটাকে। ঘরের ছেলে মেয়ে ও ওদের মা সহ ওরা ঘর হতে বেরুতে দেয় না। ওদের দলভারী, ওদর সম্মিলিত শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে আসছি আজ অবধি। তাই গুন গুন করে তাল বেতালে গাই মন পাখী তুই, আর কতকাল থাকবি খাঁচাতে? ও তুই উড়াল দিয়ে মারে পাখী উড়াল দিয়ে খা…স্বপ্ন ভঙ্গ হয় মাঝখানে। খাঁচার দরওয়াজা বন্ধ বা লক-ডাউন। তাই বলছিলাম ‘তুই চলোর ক্যাঁনে? অভাই চৈল্ল্যোম ক্যাঁনে? দশের যে গতি আঁরও হেই গতি। দেশে খাদ্য নিরাপত্তার বিপরীতে মজুদ খাদ্য ছিলো ১৭ লক্ষ টন। করোনা মোকাবিলায় এরমধ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টনের ঊর্ধ্বে খাদ্য বিতরণ করা হয় আরো ৬ লক্ষ টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকার গত কয়েক বছর ধরে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল ৭ মাস ধরে বিতরণ করেছেন। আরো ৫০ লাখ পরিবারকে এর আওতায় আনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘোষণা আছে। তা যদি পরিবারে গড়পড়তা সদস্য সংখ্যা ৫ জনই হয় তবে ৫ কোটি লোক উপকৃত হবে। এটা ভালো একটা উদ্যোগ। তবে লক ডাউন ছুটি ৫ই মে পেড়িয়ে ১৬ই মে পর্যন্ত ঘোষণা করার নির্দেশ জারির মাধ্যমে মানুষকে হাত-পা গুটিয়ে গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করতে হবে। অর্থ হচ্ছে ২২ শে রমজান অবধি মেরাথন ছুটি। হয়তো ঈদের একটা টানা বন্ধ। সবকিছু মিলিয়ে মানুষ এক অলস জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়বে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ‘ডঐঙ’ সতর্ক বাণীর এক ভাইরাস ভাইরাল করে বলেছেন ‘লকডাউন’ ব্রেক ডাউন করলে ‘কোবিড’ (করোনা ভাইরাস ডিজিস) আরো ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। দৃশ্যত মনে হয় করোনা ঠ্যাক দিতে গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করে নন্দলালের ভূমিকা পালন ছাড়া গত্যান্তর নেই। চাঁটগাঁর একটা প্রবাদ আছে ‘খোঁজা দুধে পোয়া ফালা-ন’ যায়। ত্রাণ দিয়ে একটা পরিবারের সামগ্রীক চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। একটা পরিবারে নিত্যদিনে অনেক কিছুর চাহিদা যা সরকার বা ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে পূরণ হবার নয়। যার জন্য নিরাপত্তার খাতিরে ভবিষ্যৎ করণীয় স্থির করে রাখতে হবে। কেবল লক ডাউন প্রতিরোধের উপায় হতে পারে না। এর পাশাপাশি দ্রæত চিকিৎসার। এলাকা এলাকায় উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে কোথাও করোনা আক্রান্ত কোন রোগীর অস্থিত্ব আছে কিনা? থাকলে সরকারী উদ্যোগে সরকারী অর্থায়নে সেবাদানের মাধ্যমে সুস্থ করার ব্যবস্থা করতে হবে দ্রæততম সময়ের মাধ্যমে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ১৮ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু করেন। উনাকে ধন্যবাদ। স্বল্পতম সময় কোভিড থেকে পরিত্রাণ পাবো এমন আশা করা যায় না। আমাদের উচিত প্রতিরোধের সবকিছু অনুশীলন অব্যাহত রাখতে হবে স্বীয় স্বার্থে।

লেখক : কলামিস্ট