তীব্র গরমের সাথে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

119

তীব্র তাপদাহে নগরীতে পানিবাহিত বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে। এসব শিশুর মধ্যে ডায়রিয়া রোগের আক্রান্তের হার বেশি। এছাড়া নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনেক শিশু।
চিকিৎসকরা জানান, বড়দের তুলনায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই তারা ডায়রিয়া, আমাশয় ও জন্ডিসে বেশি আক্রান্ত হয়। এজন্যে অবশ্যই পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। যেখানে-সেখানে মল ফেলা যাবে না। এতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। শিশুদের টয়লেটে গিয়ে মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে নগরীর সবকটি হাসপাতালে রোগীদের ভিড় স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী বাড়ার কারণে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। অস্বাভাবিক গরমের কারণে রোগী বাড়ছে। গরম অব্যাহত থাকলে রোগীর চাপ আরও বাড়বে। এছাড়া এই গরমে ডায়রিয়ার মতো পেটের পীড়া থেকে সুরক্ষার জন্য বাইরের খোলা খাবার না খেতে সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে প্রতিবছর তীব্র গরমের সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যায়। তীব্র গরমে পানির চাহিদাও বাড়ে। তখন পানির সংকট দেখা দেয়। বেশিরভাগ মানুষ দূষিত পানি পান করে। এতে করে তারা ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। তাই ডায়ারিয়া মোকাবেলায় বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। পঁচা, বাসি খাবার, রাস্তার পাশে দূষিত পানির তৈরি শরবত পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যতটুকু সম্ভব গরম ও রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। পাঁচ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
পাঁচ মাসের বেশি বয়সী বচ্চাদের বুকের দুধের পাশাপাশি স্যালাইন ও নির্দিষ্ট সময় পরপর স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে।