তালিকায় নাম নেই জলন্তমনি তঞ্চঙ্গ্যার

42

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আলীকদমের পান বাজার চৈক্ষ্যং ত্রিপুরা পাড়া-কলার ঝিরি রাস্তা পাকা করণ প্রকল্পে ভ‚মি অধিগ্রহণের তালিকায় নাম নেই জলন্তমনি তঞ্চঙ্গ্যার। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে রাস্তাটি পাকা করণের কাজ শুরুর প্রাক্কালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হইতে ভ‚মি অধিগ্রহনের তালিকা প্রনয়ন করা হয়। দীর্ঘদিন গড়িমশির পর অবশেষে চুড়ান্ত তালিকা পাওয়া গেলেও তালিকায় নাম দেখা যায়নি ক্ষতিগ্রহস্থ জুমিয়া অধিবাসি জলন্ত মনি তঞ্চঙ্গ্যা। সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তাটির কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে। এই রাস্তার প্রায় ১৫০ মিটার জুড়ে রয়েছে জলন্তমনির নামীয় ২৯১ নং তৈনফা মৌজার হোল্ডিং নং- ৪০ এর চৌহদ্দিভ‚ক্ত জমি। রাস্তা নির্মানে ওই হোল্ডিং এর প্রায় ৪০ শতাংশ জমি রাস্তার নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গত ৩০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভ‚মি অধিগ্রহণ শাখা স্থানীয় নয় জন ক্ষতিগ্রস্থের নিকট হইতে নোটিশে উল্লেখিত পরিমান জমি অধিগ্রহণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভ‚মি অধিগ্রহণ) প্রবিধান, ১৯৫৮ এর ৩(২) ধারায় বর্ণিত বিধান অনুসারে নোটিশ জারী করা হলেও জলন্ত মনি তঞ্চঙ্গ্যার নাম এ নোটিশে দেখা যায়নি। এবিষয়ে গত ৩০/০৪/২০১৯ তারিখ জলন্তমনি তংচংগ্যা বান্দরবান জেলা প্রশাসকের বরাবরে ক্ষতিপুরণের জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হইতে বিষয়টি তদন্ত করা হয়নাই বলে জানান জলন্তমনি তঞ্চঙ্গ্যা। এ প্রতিবেদককে আরো জানান, আমি একজন গরিব অসহায় জুমিয়া।
চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারের ভরণ পোষন করছি। কিন্তু ওই এক টুকরো জমি থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ জমির উপর রাস্তা নির্মাণ হয়। জমির ক্ষতিপুরণ না পেলে আমার পরিবার পরিজনের ভরণ পোষন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তবে এবিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও অনিবার্য করণ বসতঃ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।