তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের যুগপূর্তিতে শিল্পকলায় হুমায়ূনময় সন্ধ্যা

42

কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অমর সৃষ্টি হিমু, রূপা কিংবা মিসির আলী। নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে এ সবগুলো চরিত্র যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিলো শিল্পীদের কন্ঠে। হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন রচনা থেকে পাঠ ও আবৃত্তি গানে পুরো সন্ধ্যাটিই হয়ে উঠেছিলো হুমায়ূনময়।
গত রবিবার আবৃত্তি সংগঠন ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’ প্রতিষ্ঠার যুগপূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী যুগপূর্তি অনুষ্ঠানমালার একাদশ নিবেদনটি সাজানো হয়েছিলো কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘প্রিয় হুমায়ূন’ শিরোনামের এ আয়োজনে সন্ধ্যা ৬.৩০টায় সূচনা বক্তব্য দেন তারুণ্যের উচ্ছ¡াস সাধারণ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম। এরপর আয়োজনের বিভিন্ন পর্বে শিল্পীরা পরিবেশন করেন হুমায়ূন আহমেদের গদ্য পাঠ, কবিতা আবৃত্তি ও গান। ‘হিমু রূপার পাঁচটি নীলপদ্ম’ শিরোনামের পর্বে পাঠে অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী লুবাবা ফেরদৌসি সায়কা, সেজুঁতি দে, শাহরীয়ার তানজিম, অনির্বাণ চৌধুরী এবং জেবুন নাহার শারমিন। ‘হুমায়ূনের কবিতানামা’ শিরোনামের পর্বে তার কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী সুপ্রিয়া চৌধুরী, ইকবাল হোসেন জুয়েল, মৌ দত্ত, জীবন বড়ুয়া, এবং ঐশী চৌধুরী।
‘যদি মন কাঁদে, তুমি চলে এসো’ শিরোনামের পর্বে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় কিছু গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী রুবেল চৌধুরী, অর্পিতা দাশগুপ্তা, আল তুষি এবং আনিকা চৌধুরী। ‘মিসির আলীর চশমা’ শিরোনামের পর্বে পাঠে অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী, ফারুক তাহের, জাভেদ হোসেন, বনকুসুম বড়ুয়া এবং শ্রাবণী দাশগুপ্তা।