তামিমের অতি মানবীয় ইনিংস

71

সেভাবে জ্বলে উঠছিল না বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের ছেলে তামিম ইকবালের ব্যাট। ভালো শুরুটা প্রায় সময়ই বড় করতে পারছিলেন না বাঁহাতি এই ওপেনার। সফল হলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে বিপিএলের ফাইনালে। দাপুটে ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। খেললেন ১৪১ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ডে নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন তামিম।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬১ বলে ১১ ছক্কা আর ১০ চারে ১৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তামিম।
২০১৩ সালে বিজয় দিবস ক্রিকেটে বিসিবি একাদশের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সেই ম্যাচে করা তার ১৩০ রান এতো দিন ছিল টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ। নিজের রেকর্ডই নতুন করে গড়লেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তামিমের শুরুটা ছিল মন্থর। খেলছিলেন দেখেশুনে। প্রথম ২০ বলে করেন ২৪ রান। কাজী অনিকের বলে কিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে জীবন পাওয়ার পর বদলে যায় খেলার ধরন। চড়াও হন বোলারদের ওপর। রান আসে বানের ¯্রােতের মতো।
৩১ বলে ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি। ৫০ বলে যান তিন অঙ্কে। অর্থাৎ পরের পঞ্চাশ আসে মাত্র ১৯ বলে। তামিম ঝড় থামেনি এরপরেও। বোলারদের তুলাধুনো করে দলকে নিয়ে যান দুইশ রানের কাছে। কুমিল্লা ৩ উইকেটে করে ১৯৯ রান।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে তামিম ছুঁয়েছিলেন তিন অঙ্ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে সেটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের একমাত্র সেঞ্চুরি।
শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল ও সাব্বির রহমানের পর বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করলেন তামিম। সাব্বিরের ১২২ ছিল এতোদিন বিপিএলে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেই রান ছাড়িয়ে একটুর জন্য ধরতে পারেননি ক্রিস গেইলকে।
গত আসরের ফাইনালে ঢাকার বিপক্ষেই রংপুর রাইডার্সের ওপেনার গেইল খেলেন অপরাজিত ১৪৬ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস। সেটাই বিপিএলের সর্বোচ্চ।