তামাকে কর বৃদ্ধির দাবিতে পদযাত্রা

56

তামাকপণ্যের উপর সুনির্দিষ্ট করারোপ এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষার দাবিতে কাফনের কাপড় সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা ও মানববন্ধন করেছে নগরীর কয়েকটি তামাকবিরোধী সংগঠন।
গতকাল সোমবার সকালে ডিসি হিলের সামনে থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। এ সময় পদযাত্রার সামনে ভ্যান গাড়িতে প্রতীকী মরদেহ উপস্থাপন করা হয়।
পদযাত্রায় প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে জানানো হয়, বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ঘন্টায় ১৮ জন, প্রতিদিন ৪৪২ জন, প্রতি মাসে ১৩ হাজার ২৬০ জন এবং প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার ২৬০ মানুষ মারা যায়। খবর বাংলানিউজের
‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স’ (সিটিএফকে) এর সহযোগিতায় স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন- ইপসা, বিটা, ইলমা ও ক্যাব যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
পদযাত্রা শেষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরোর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চসিক কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, বিটার প্রকল্প সমন্বয়ক প্রদীপ আচার্য, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি তামাক সেবনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এর প্রধান কারণ তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা, খুচরো সিগারেট ক্রয়-বিক্রয় এবং বিজ্ঞাপন। তামাকের এই সহজলভ্যতার কারণে তরুণরা দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে তামাকের দিকে।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী তামাক ব্যবহারে প্রতিবছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। যা দেশের বার্ষিক মোট মৃত্যুর ১৯ শতাংশ। দেশের প্রতি পাঁচজনে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ তামাক ব্যবহার।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও উচ্চহারে সব ধরণের তামাকপণ্যের দাম বাড়াতে হবে।