তাপমাত্রা বাড়ছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে আগাম প্রস্তুতি ও সতর্কতা প্রয়োজন

116

বসন্তের মাঝামাঝি তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। সামনে গ্রীষ্মকাল, গ্রীষ্মের তাপদাহ বর্তমানে জনজীবনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। এদিকে চীন থেকে ছড়ানো করোনা বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশ উন্নত দেশের তালিকায় নেই। এখানকার জীবনযাত্রা নিম্নমানের, ঘনবসতির বাংলাদেশে একদিকে করোনার ঝুঁকি, অন্যদিকে গ্রীষ্মের তাপদাহের দাপটÑ এমতাবস্থায় দেশের মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপনের গ্যাঁড়াকলে আটকে পড়ছে। এর অশুভ প্রভাব দেশের জনজীবনের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যার কারণে সরকার ও দেশের মানুষ অগ্রিম আশঙ্কায় সময় গণনা করছে।
দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- ফাল্গুনের বিদায়বেলায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমান্বয়ে চড়তে থাকায় দেশের প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তায় দেখা যাচ্ছে আগামী এপ্রিল ও মে মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট কয়েকটি নিম্নচাপ থেকে অন্তত দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সামনে দেশে কিরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে এবং করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যাচ্ছে তা আগাম বলা যাচ্ছে না।
একথা সত্য যে, আমাদের দেশ ঘণবসতিপূর্ণ। ঘনবসতিপূর্ণ এদেশে করোনা সংক্রান্ত সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমরা মনেকরি করোনা সম্পর্কিত সচেতনতা দ্রুত দেশের মানুষের ধারণায় প্রবেশ করানোর জন্য প্রচার মাধ্যমের পাশাপাশি বিশেষ টিম গঠন করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা করার জন্য সরকারসহ সকলের ভূমিকা প্রয়োজন। সারাবিশ্বে করোনা প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেশের মানুষের জীবন যেমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তেমনি তার সাথে তীব্র তাপদাহ এবং ঘূর্ণিঝড় হবে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। বৃষ্টি, ঝড়, তাপদাহ মৌসুমী বায়ুর প্রভাব অনাদি কাল থেকে হয়ে আসছে। তাতে সাধারণ মানুষের কোন হাত নেই। তবে মানুষকে প্রকৃতি ধ্বংসের মানসিকতা পরিহার করা খুবই জরুরি। তাপমাত্রা বাড়লে যেসব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয় সেসব থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সচেতন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই।
আমাদের কলকারখানা, স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ জনবহুল স্থানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি তা এখনো দেশের অনেক মানুষ জানে না। বাঁচতে হলে জানতে হবে, সাধারণ মানুষকে এবিষয়ে দ্রæত জানাতে হবে। জানাতে হবে কিভাবে করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিভাবে এ ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার ও দেশের বিত্তশালীদের দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আগাম পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে লোক নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণে সরকার ও নীতি নির্ধারকদের এগিয়ে আসতে হবে।