তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, চীনের উদ্বেগ

23

যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীকে যাত্রাপথ হিসেবে ব্যবহার করায় ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র তাদের উদ্বেগের কথা ওয়াশিংটনকে জানানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন। ১৮০ কিলোমিটার প্রশস্ত ওই প্রণালীটিই তাইওয়ান ও চীনকে পৃথক করেছে।
তাইওয়ানের স্বাধীনতা নিয়ে যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীনের যুদ্ধ ঘোষণার হুমকির একদিনের মাথায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অ্যান্টিএটাম ওই প্রণালী ব্যবহার করল, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে উত্তেজনা দানা বাধছে তার মধ্যে তাইওয়ানও আছে। চীনের উদ্বেগ সত্বেও সা¤প্রতিক বছরগুলোতে প্রণালীটিতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি বাড়ছে। স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে চীন নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই বিবেচনা করে আসছে। তাইপে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তাইপের সুরক্ষায় সহায়তা দিতে তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। ওয়াশিংটন স¤প্রতি তাইওয়ানের কাছে পেন্টাগনের ২২০ কোটি ডলার সমপরিমাণের অস্ত্র ও সরঞ্জাম বিক্রিতেও অনুমোদন দিয়েছে। এ অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বেইজিং বলেছে, যে মার্কিন কোম্পানিগুলো এ অস্ত্র বিক্রি কার্যক্রমে জড়িত থাকবে চীন তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে। তাইওয়ান ছাড়াও শুল্ক, দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের নানান সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বিরোধ চলছে। “তাইওয়ানই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রকে আমরা এক চীন এবং তিনটি যৌথ ঘোষণার নীতি মেনে তাইওয়ান বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহব্বান জানাচ্ছি, যেন তা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষতি না করে, তাইওয়ান প্রণালী সংশ্লিষ্ট এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট না করে,” বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং।
আগের দিনই দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক শ্বেতপত্রের সংবাদ ব্রিফিংয়ে তাইওয়ানের স্বাধীনতার চেষ্টার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। “যদি কেউ তাইওয়ানকে এদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার দুঃসাহস দেখায়, চীনের সেনাবাহিনী জাতীয় সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও আঞ্চলিক অখন্ডতার সুরক্ষায় তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত,” বলেছিলেন তিনি।