তাইওয়ান উপকূলে চীনের সামরিক মহড়া

70

চীনের আওতায় থেকে তাদের ডিঙিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনছে এশিয়ার দ্বীপ অঞ্চল তাইওয়ান। যুক্তরাষ্ট্র কেনো তাদের অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দিচ্ছে- এর জেরে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে নতুন করে আবার শুরু হয়েছে উত্তেজনা। একইসঙ্গে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ান উপকূলে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীনা সামরিক বাহিনী। রোববার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানায়, তারা নিজেদের দক্ষিণপূর্ব সমুদ্র উপকূল এলাকায় নৌ এবং বিমান মহড়া চালিয়েছে।
চীনের পিপলস লিবারেশ আর্মি (পিএলএ) জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব চীনা সমুদ্র উপকূল এলাকায় সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চীনা নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী অংশ নিয়েছিল। বেইজিং এবং তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে উভয়েই এই মহড়ার গুরুত্ব কমানোর চেষ্টা করেছিল। যদিও এই অস্ত্র চর্চাকে পিএলএ নিজেদের বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করে আসছে।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন অংশ বা অঞ্চল হিসেবে মনে করে চীন। সে হিসেবে শাসনও করে আসছে। তারা চায় না তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র কিনুক। তুমুল বাধা দেওয়া সত্তে¡ও তাইওয়ান সে অস্ত্র কিনছে। এর কারণ হিসেবে সম্প্রতি তাইওয়ানকে ‘ইঙ্গিত’ দিয়ে তাদের পার্শ্ববর্তী উপকূলে নিজেদের অস্ত্র প্রদর্শন করেছে চীন। আবার নিজেদের আওতায় থাকা অঞ্চলে, এমনকি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও যুক্তরাষ্ট্র কেনো তাইওয়ানকে অস্ত্র দিচ্ছে, তা নিয়ে স¤প্রতি ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে।
পশ্চিমা দেশ তাইওয়ানকে আলাদ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করছে। যা চীনের পছন্দ নয়। বেইজিংয়ের বাধা উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দ্বীপ অঞ্চল তাইওয়ানকে দুই দশমিক দুই বিলিয়ন বা ২২০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রি করতে রাজি হয়েছে। এদিকে, তাইওয়ান স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখন্ডভুক্ত করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে চীন।