তবুও কেন ভোটে, জবাব দিলেন ফখরুল

36

নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা রাখার পরও সিটি নির্বাচনে বিএনপির যাওয়া নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তার জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগকে সরকারে রেখে নির্বাচন যে সুষ্ঠু হবে না, তা প্রমাণের জন্যই তাদের এই অংশগ্রহণ। নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যানের পর দলটি বলেছিল, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এরপর ইসির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন বর্জন করলেও এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা না থাকলেও বিএনপি কেন সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল বুধবার সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এদিন বিকালে ছাত্রদলের এক সমাবেশে বক্তৃতায় বিএনপির মহাসচিব ফখরুল তার জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করেন, আপনারা নির্বাচনে কেন গেলেন? প্রথমে বলতে চাই, ২০১৪ সালের নির্বাচনে যাইনি, তখন আমাদেরকে বলেছিলেন যে, ভুল করেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়াটা প্রমাণ করার জন্যই আমরা ২০১৮ সালে নির্বাচনে গেছি, আওয়ামী লীগের অধীনে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, তা প্রমাণ করার জন্য গেছি। আজকেও প্রশ্ন এসেছে যে, আপনারা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে গেছেন কেন? ওই একই কথা বলতে চাই, নির্বাচনে এজন্য যাচ্ছি যে এই কথা বার বার প্রমাণ করার জন্য যে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না’।
ঢাকার দুই সিটিতে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন, যারা নিজেরাই বলে যে, আমরা পারি নাই, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথা-আমরা পারি নাই। আরেকজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার পরিষ্কারই বলেই দিয়েছেন, এই নির্বাচন কমিশন যোগ্য নয় সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করার জন্য। আমি বলতে চাই, এই নির্বাচন কমিশনকে সরাতে হবে, এই সরকারকে সরাতে হবে এবং একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে’। খবর বিডিনিউজের
আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ওই বন্দুক দিয়ে, পিস্তল দিয়ে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। জনগণের সরকার তো তারা নয়, জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, যে ১০০ জন লোককে জিজ্ঞাসা করুন রাস্তার মধ্যে, ৯০ জন লোকই বলবে যে, এই সরকারকে আমরা চাই না। ওবায়দুল কাদের সাহেব, আসুন আপনার ওই পুলিশ-টুলিশ বাদ দিয়ে দেখুন মানুষ কি বলে? দেখুন দেয়ালের ভাষা কি লেখা আছে’।