ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

20

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল না। সাইফ হাসান গ্লাভসবন্দী হয়ে যান দলীয় ১৮ রানে। এর পর নাজমুল শান্তর সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তামিম ইকবাল। তামিম ইনিংস লম্বা করতে পারেননি যদিও, তিরিপানোর বলে গ্লাভসবন্দী হয়ে বিদায় নিয়েছেন ৪১ রানে।
তবে প্রান্ত আগলে খেলে প্রতিরোধ গড়ার সঙ্গে ৩৭তম ওভারে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি
তুলে নেন শান্ত। তামিমের অভাব টের পেতে দেননি, অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে গড়েছেন ৭৬ রানের জুটি।
শান্তকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন টিশুমা। তার বলে গ্লাভসবন্দী হয়ে শান্ত ফিরেছেন ৭১ রান করে। যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ, ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার।
শান্তর পর হাফসেঞ্চুরির খরা মিটিয়েছেন মুমিনুলও। টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর এটি তার প্রথম হাফসেঞ্চুরিও!
দিনের শেষ ভাগ নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়ে। মুমিনুল অপরাজিত আছেন ৭৯ রানে, মুশফিকুর রহিম ৩২ রানে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পেসার আবু জায়েদ রাহী দিনের শুরুর আঘাতটা হেনেছেন। তার বল তিরিপানোর (০৮) ব্যাটের কোনায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে। এরপর নতুন নামা এনডিলোভুকে রানের খাতা খোলবার আগেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রাহী। রাহীর পর এ টেস্টে প্রথমবারের মতো উইকেট শিকার করেন তাইজুল, টিশুমাকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে।
চাকাভা অপরপ্রান্তে টিকে দ্রুত কিছু রান তোলার চেষ্টা করেছেন। এই দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টায় উড়িয়ে মারতে গিয়েই তালুবন্দী হয়েছেন তাইজুলের বলে। নাঈম হাসান তার ক্যাচটি নিলে ২৬৫ রানেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় দিন প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো টিকেছিল জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ। নাঈম নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই দিন মিলে রাহী নিয়েছেন ৪টি। আর দুটি নিয়েছেন তাইজুল।