ঢাকা উত্তরে এবারের মেয়রের মেয়াদ এক বছর

53

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এই উপনির্বাচনে যিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন, তিনি এক বছর দায়িত্বে থাকবেন। সেই সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত ৩৬ টি ওয়ার্ড ও ১২ টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মেয়াদও এক বছর হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেওয়ার সময় একথা জানান।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে আগামি ২৮ ফেব্রæয়ারি উপনির্বাচন হচ্ছে। ওই দিন সিটি কর্পোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রথম ভোটগ্রহণ হবে।
সিইসি বলেন, ‘এ নির্বাচনের পরে মাত্র এক বছর কাল হাতে পাবেন নতুন যারা নির্বাচিত হবে (মেয়র ও কাউন্সিলর)। তারপর ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসের দিকে পুরো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে আবার’। তবে অতীতের মতো সব নির্বাচনের মতোই গুরুত্ব দিয়েই এ নির্বাচন করার নির্দেশনা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাতের দেন তিনি।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তরে ভোট হওয়ার পর ১৪ মে প্রথম সভা হয়। সে হিসাবে এই উপনির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র বাকি মেয়াদের জন্য অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবেন। খবর বিডিনিউজের
২০১৬ সালের নভেম্বরে আনিসুল হকের মৃত্যুর পর গত বছর ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে উপনির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন ভোট হলে নতুন মেয়র দুই বছর দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেতেন। কিন্তু নতুন ওয়ার্ডের সীমানা জটিলতা নিয়ে রিট আবেদনে তখন ভোট আটকে গিয়েছিল।
এই উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে মোট ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলামকে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন ব্যান্ডশিল্পী শাফিন আহমেদ। বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করছে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল উত্তরের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটিতেও ভোট হয়েছিল, তাতে মেয়র হন সাঈদ খোকন। তার কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয় ১৭ মে। অর্থাৎ তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।
ঢাকা উত্তরে পুরনো ৩৬ টির সঙ্গে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যোগ হওয়ায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫৪টি। আর দক্ষিণে ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫টি। অর্থাৎ পুরনো ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচিত কাউন্সিলররা পাঁচ বছর সময় পেলেও নতুন ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলররা দায়িত্বে থাকছেন এক বছর।
সিইসি বলেন, ‘মেয়াদ যত স্বল্পই থাক না কেন, রাজধানী শহর ঢাকা সিটিতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এক বছরের মাথায় পরিবর্তন হলেও তা খাটো করে দেখার প্রয়োজন নেই’।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ফেব্রুয়ারি বাছাই; কেউ চাইলে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবে। ঢাকা উত্তরে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দক্ষিণে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।