ঢাকায় ফিরে পাবনার আশ্রমে অঞ্জু ঘোষ!

88

২০ বছর পর ঢাকাই চলচ্চিত্রে ফিরছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র অঞ্জু ঘোষ। আর এ জন্য গত ২২ জানুয়ারি ঢাকা এসেছেন তিনি। একদিন বিশ্রাম নিয়ে সোজা গেলেন পাবনা। কারণ, ‘মধুর ক্যান্টিন’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার আগে পাবনার হেমায়েতপুর গ্রামের একটি আশ্রমে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আগেই। সেখানে অবস্থিত শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমে একটা দিন থেকে শুক্রবার ঢাকা ফিরবেন তিনি। আর ছবির শুটিং শুরুটা হবে ১ ফেব্রæয়ারি থেকে। তথ্যগুলো জানান ‘মধুর ক্যান্টিন’ ছবির পরিচালক সাইদুর রহমান সাঈদ।
তিনি বলেন, ‘কলকাতা থেকে একসঙ্গে আমি ও অঞ্জু ঘোষ ঢাকায় এসেছি। তিনি এখন পাবনার পথেই আছেন। সেখান থেকে ফিরলে ছবির প্রস্তুতি শুরু করবেন। তিনি মধুদার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করবেন।’ ‘মধুর ক্যান্টিন’ সিনেমায় মধুদার চরিত্রে অভিনয় করছেন ওমর সানী। আর সাংবাদিকের ভূমিকায় দেখা যাবে মৌসুমীকে। সিনেমায় মধুদার জীবনের ১৯৬৪ থেকে ১৯৭১-এর সময়টাই উঠে আসবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে অঞ্জু ঘোষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভোলানাথ অপেরার হয়ে যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গান গাইতেন। ১৯৮২ সালে এফ কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’-এর মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এই ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল ছিল। রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। অঞ্জু বাণিজ্যিক ছবির তারকা হিসেবে যতটা সফল ছিলেন, সামাজিক ছবিতে ততটাই ব্যর্থ হন।
১৯৮৭ সালে অঞ্জু ঘোষ সর্বাধিক ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন, মন্দার বাজারে যেগুলো ছিল সফল ছবি। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া তার ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ অবিশ্বাস্য ব্যবসা করে। সৃষ্টি করে নতুন রেকর্ড। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে, সওদাগর, নরম গরম, আবে হায়াত, রাজসিংহাসন, পদ্মাবতী, রাই বিনোদিনী, সোনাই বন্ধু, বড় ভালো লোক ছিল, আয়না বিবির পালা, আশা নিরাশা, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা, মালাবদল, আশীর্বাদ প্রভৃতি। ১৯৯১ সালে বাংলা চলচ্চিত্রে নতুনদের আগমনে তিনি ব্যর্থ হতে থাকেন। এর কয়েক বছরের মাথায় তিনি দেশ ছেড়ে চলে যান ভারতে এবং কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন। সর্বশেষ তিনি ভারতের বিশ্বভারতী অপেরার যাত্রাপালায় নিয়মিত অভিনয় করতেন।