ঢাকার সিটি নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

23

ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করাসহ বিভিন্ন কারণে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট দায়ের করেন। আবেদনটির ওপর আজ বৃহস্পতিবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ঢাকার দুই সিটির রিটার্নিং অফিসারকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের গ্রাউন্ডগুলোতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে তিনশ’ ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে। কিন্তু দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে এই বিধান না থাকাটা বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের ৭, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঢাকা সিটি নির্বাচনের জন্য প্রথমে ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ ঘোষণা করে তফসিল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই তফসিল সংশোধন করে ১ ফেব্রূয়ারি নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়। কিন্তু বিধি অনুসারে নির্বাচন পেছানো নিয়ে তফসিল সংশোধনের সুযোগ নেই, পুনরায় তফসিল দিতে হয়।
২০১০ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ২৭ বিধি অনুসারে নির্বাচনের পূর্বে সিটির ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। বিধি ১১(১) অনুযায়ী প্রতিবছর ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় ২০ জানুয়ারি। তবে ভোটার তালিকা হালনাগাদে এখনও ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় থাকলেও নতুন ভোটাররা তালিকায় অন্তর্ভুক্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। বিধি মোতাবেক, সিটি করপোরেশনের মেয়রের মেয়াদ হবে ১ম সভা থেকে ৫ বছর। বর্তমান মেয়রদের ১ম সভা ২০১৫ সালের ১৭ মে অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে তাদের মেয়াদ চলতি বছরের ১৭ মে পর্যন্ত হওয়ার কথা। অথচ প্রায় ৬ মাস পূর্বে নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এতে আরও বলা হয়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখের পরে যেমন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যায় না, তেমনি নির্বাচনের তারিখও পেছানো যায় না। বিধিমতে নুতন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ১০(১) বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করেছে, আবার একই বিধি ১০(১) অনুযায়ী তফসিল সংশোধিত করেছে, যা বৈধ নয়। নির্বাচনের তারিখ সংশোধনের কোনও বিধান আইনে নেই। এই অবস্থায় ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বরের তফসিল এবং গত ১৮ জানুয়ারির সংশোধিত তফসিল অবৈধ হবে।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, আবেদনটির ওপর বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে।