ঢাকার পর সর্বোচ্চ মৃত্যু চট্টগ্রামে নতুন আক্রান্ত ১৯২

35

দেশে করোনায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। চট্টগ্রাম বিভাগে নতুন করে মৃত্যু বেড়েছে। ঢাকার পরই সর্বোচ্চ মৃত্যু এখন চট্টগ্রাম বিভাগে। আর ধীরে ধীরে মৃত্যু বাড়ছে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে। তবে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ।
গতকাল শনিবার দুপুরে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশে করোনায় মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫০ দশমিক ০২ শতাংশ, চট্টগ্রাম ২৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, রাজশাহী ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ, খুলনা ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, সিলেট ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, বরিশাল ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, রংপুর ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে হাসপাতালে ১৮, বাড়িতে ১১ এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।
চট্টগ্রামে নতুন আক্রান্ত ১৯২ : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই দিন পরীক্ষা করা হয় ১ হাজার ৯৯টি নমুনা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ হাজার ৩৮৫ জনে।
গতকাল শনিবার (১১ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবসহ চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ২২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় আরও ২৫ জন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ১২২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। এছাড়া বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জন এবং শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে দুইদিনের ১৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জন শনাক্ত হয়। এইদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে আরও একজন শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৯২ জন। এদের মধ্যে নগরে ১৫৮ জন এবং উপজেলায় ৩৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টা মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ জন।