ঢাকার নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে : সিইসি

16

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন। এই নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে’। গতকাল রবিবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তফসিল অনুযায়ী আগামি ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে সেনা বাহিনী থাকবে না। পুলিশ, বিজিবি থাকবে। তবে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুই জন করে সেনা সদস্য থাকবেন’। তিনি বলেন, ‘বর্তমান মেয়ররা নির্বাচন করতে চাইলে তাদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আর সিটি কর্পোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি নির্ধারণ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা আদালতে গেলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবে কিনা- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনে ব্যক্তি কখন নির্বাচন হলো কিনা, সেটা নিয়ে কিছু বলা নেই আইনে। নির্বাচনের মেয়াদের কথা আইনে বলা আছে। তাই আইনি জটিলতা হবে না। নতুন ভোটার হবে ৩১ জানুয়ারির পর। তাই নতুন ভোটাররাও কোনো আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারবেন না’।
এই নির্বাচন সব দলের জন্য? না কোনো একটি দলকে জেতানোর জন্য?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো দিন একটি দলকে জেতার জন্য কাজ করে? এই নির্বাচন সব দলের জন্য উন্মুক্ত। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে’।
দলের সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণের জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় ঠিক করেছে আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে সিইসি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী এটি আইনসিদ্ধ হয়নি। আমাদের আইন অনুযায়ী, দলগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণ করতে হবে। দল কিভাবে কি করছে, সেটা তাদের ব্যাপার। কোনো দল যদি শর্ত পূরণ করতে না পারে, তখন আমরা বিবেচনা করবো। এই ব্যাপারে অগ্রিম কিছু বলা যাবে না’। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
সংবাদ সম্মেলনের চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।