ড. কামাল এখন বেপরোয়া চালকের মতো : কাদের

31

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচিতে এক সাংবাদিকের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেনের আচরণকে বেপরোয়া গাড়িচালকদের সঙ্গে তুলনা করলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, সারাদেশে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বেসামাল হয়ে পড়ছে এবং বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো ড. কামালও বেপরোয়া আচরণ শুরু করেছেন।
নিজের নির্বাচনী এলাকা নেয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ যাওয়ার পথে শনিববার দুপুরে ফেনীর দাগনভূইয়ায় যাত্রাবিরতির সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এই প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের।
এদিকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনেও সাংবাদিকের সঙ্গে কামাল হোসেনের আচরণের নিন্দা জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকার মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে একই প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এক সাংবাদিককে ‘খামোশ’ বলার পাশাপাশি চিনে নেওয়ার হুমকি দেন কামাল।
আওয়ামী লীগের এক সময়ের নেতা কামাল হোসেন বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির জোটসঙ্গী দল জামায়াতও অংশ নেওয়ায় তা ধরে কামালের সমালোচনায় মুখর তার পুরনো দল আওয়ামী লীগের নেতারা।
কাদের বলেন, তিনি (কামাল) এত নিচে নেমে গেছেন, ভাবতেও অবাক লাগে। সাংবাদিককে খামোশ বলে যে অপমান করেছেন ড. কামাল, তার মাধ্যমে তিনি পুরোনো পাকিস্তানি ভাষা ব্যবহার করেছেন।
তিনি তার স্বরূপ ঢাকতে পারেননি। তিনি প্রমাণ করলেন যে তিনি বাংলাদেশের নষ্ট রাজনীতির প্রবক্তা। ড. কামাল প্রমাণ করলেন মানুষের শক্তি যত কমে আসে, তার মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে যায়। খবর বিডিনিউজের
ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, তিনি সাংবাদিকদের হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রাজনীতিতে কামাল হোসেনকে কখনও জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে পাওয়া যায়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ১৯৭৫ সালে ড. কামাল হোসেনের রহস্যাবৃত, বিতর্কিত ভূমিকার কথা দেশবাসী জানে। তিনি বিভিন্ন সময়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন তার ষড়যন্ত্রের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতারই অংশ।
ওবায়দুল কাদের নির্বাচনী সহিংসতার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য বিএনপিই দায়ী। মির্জা ফখরুল বা বিএনপির সাথে শতকরা ১০ জন লোকও নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি চাই না, তারা (বিএনপি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াক।
দাগনভূইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, পৌর মেয়র ওমর ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।