চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দাবি করেছে ইরান। রবিবার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি করেন দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিউমার্স হায়দারি। তিনি বলেন, শত্রæর যে কোনও হুমকি মোকাবেলার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত শাখাকে হার্ডওয়্যার সরবরাহ করবে সেনাবাহিনী। জেনারেল কিউমার্স বলেন, দ্রæতগতিতে যুদ্ধ অভিযানে নামার জন্য ইরানের সামরিক বাহিনীকে অস্ত্রসজ্জিত করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীকে যে ড্রোন দেওয়া হয়েছে তা খুবই কার্যকর।
ইরানের সামরিক বাহিনীর কাছে ইতোমধ্যেই হস্তচালিত ফরপাদ ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান জেনারেল কিউমার্স হায়দারি। এমন সময়ে ইরান ড্রোন প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দাবি করলো যখন আরব বিশ্বে নিজের সামরিক উপস্থিতি আরও জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই খবর বেরিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ অঙ্গরাজ্য থেকে এফ-৩৫ স্কোয়াড্রন সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী। আমিরাতের পাশাপাশি সৌদি আরবেও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউস। দেশটিতে বাড়তি তিন হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮৮তম ফাইটার উইং-এর কমান্ডার কর্নেল স্টিভেন বেহমার জানিয়েছেন, ৩৪তম এবং ৪৬৬তম ফাইটার স্কোয়াড্রনের সদস্যদের উটাহ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল ধাপরা বিমান ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে।
আমিরাতে পাঠানো মার্কিন বাহিনীর সদস্যদের নাম রিজার্ভ ইউনিট থেকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সক্রিয় দায়িত্ব পালনকারী সদস্যদের তালিকাতেও আর তাদের নাম থাকছে না। এর আগে ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে হিল বিমান ঘাঁটি থেকে চতুর্থ ফাইটার স্কোয়াড্রন মধ্যপ্রাচ্যে পাঠায় ওয়াশিংটন। তবে ছয় মাস পর মার্কিন বিমান ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।