ডোমখালী খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

31

রাজাখালী, নোয়াখাল ও চাক্তাই খাল উচ্ছেদ অভিযান শেষ করার পর এবার ডোমখালী খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গতকাল মঙ্গলবার থেকে চান্দগাঁও ডোমখালী খালের পাঠানিয়া গোদা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে হাত দিয়েছে সিডিএ। সিডিএ’র স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন। উচ্ছেদ অভিযানের সহযোগিতা করছেন জলাবদ্ধতা নিরসন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বলেন, ডোমখালী খালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। পাঠানিয়া গোদা থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনটি খালে উচ্ছেদ অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। ক্রমান্বয়ে ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সিডিএ’র হিসাব মতে, ডোমখালী খালের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। খালটিতে অবৈধ স্থাপনা আছে ১১৫টি। বিএস খতিয়ান অনুযায়ী খালের ৭ দশমিক ৮৩৫ একর জায়গা বেদখল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়। ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগাপ্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।