ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘরের আঙিনা পরিষ্কার রাখুন

55

দেশে চলমান ডেঙ্গু জ্বরের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে এডিস মশার বিস্তাররোধ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনে সচেতনতা কার্যক্রম ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, নিজের ঘর আঙিনা পরিষ্কার রাখুন, নিজে বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচান। প্রত্যেকের ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমাদের নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে হবে।
কলকাতার প্রসঙ্গ টেনে চেম্বার সভাপতি বলেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সচেতনতার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ নিজেদের ডেঙ্গু মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণপূর্বক পাড়া মহল্লায় প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাই দোকানপাট, অফিস আদালত, শিল্প কারখানা, বাসস্থান ইত্যাদি যার যার আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে এডিস মশার বংশ বিস্তাররোধ করতে হবে। বিশেষ করে ঈদের বন্ধে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় চেম্বার পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ, এস. এম. আবু তৈয়ব ও নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন এবং স্বাধীনতা নারী শক্তির সভাপতি অধ্যাপক বিবি মরিয়ম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক এ. কে. এম. আকতার হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মো. শাহরিয়ার জাহান, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, মো. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, সালমান হাবীব, তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী ও সাকিফ আহমেদ সালাম উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ বলেন, আমরা সাধারণত মনে করে থাকি নিম্নবিত্ত ও বস্তির লোকজন কেবল সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উচ্চবিত্তরাই ডেঙ্গু রোগের শিকার হচ্ছে বেশি। তিনি সাবধানতাকেই এই রোগের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা উল্লেখ করে আসন্ন কোরবানীতে যেখানে সেখানে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ জানান।
চেম্বার পরিচালক এস. এম. আবু তৈয়ব বলেন, ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই সচেতন হতে হবে। আগামী বছর এ সমস্যা থাকবে না বলে প্রত্যাশা করে সবাইকে এক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহবান জানান তিনি।
চেম্বার পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন বলেন, কেবল বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে গত বছর প্রায় ৪ কোটি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। এবছর ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মন্তব্য করে তিনি সংগঠনগুলোর মাধ্যমে আশেপাশের মানুষকে সচেতন করার অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বাধীনতা নারী শক্তি নামক সংগঠনের সভানেত্রী অধ্যাপক বিবি মরিয়ম বলেন, আমরা নিজেরাই ডেঙ্গু রোগ উৎপাদনকারী এডিস মশা সৃষ্টি করি। কার্নিশ, টব ইত্যাদি জায়গায় জমানো পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে বেশি সচেতনতা আসা দরকার বলে মনে করেন তিনি।