ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে

10

 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক রেখে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাঁটার কারণে দেশে এখন জরুরি অনেক সেবা প্রাপ্তি সহজ হয়েছে। শুরুটা কঠিন মনে হলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ’র সফল বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা ভাবনা ছিল। তিনি গত রোববার দুপুরে কর্পোরেশনের টাইগারপাসস্থ অফিসের কনফারেন্স রুমে ডিজিটাল সেবা সেন্টারের ১১ বছর পূর্তি উদযাপন ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সেবা ক্যাম্পেইন ২০২১এর উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম। বক্তব্য রাখেন কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ। সঞ্চালনায় ছিলেন আইটি কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন।
শুরুতে মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে স্থাপিত নগর তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের নিয়ে ডিজিটাল সেন্টারের ১১ বছর পূর্তির কেক কাটেন।এরপরে ই-সেবা নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সিটি কর্পোরেশনের সেবাকে জনগণের দোর গোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নগর তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (সিআইএসসি) প্রতিষ্ঠা এবং সেবা চুক্তির (সার্ভিস এগ্রিমেন্ট) মাধ্যমে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা প্রদান করাই নগর তথ্য সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। এই তথ্য সেবাকেন্দ্র দুজন উদ্যোক্তা (একজন পুরুষ ও একজন নারী) দিয়ে পরিচালনা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহ জনগণের ক্ষমতায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মাঝে তথ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে। ২০১৩ সালে সিটি কর্পোরেশনের এলাকায় নগর তথ্য সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ইউআইএসসি এর নাম পরিবর্তন সিআইএসসি এর নাম পরিবর্তন করে নগর ডিজিটাল সেন্টার (সিডিসি) করা হয়। এই সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ ধরণের সেবা সহজে পাওয়া যায়। এর মধ্যে নাগরিকতা, জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তি, জমির দাগ নম্বর বা শীট সহজে পাওয়া যায়। এছাড়া খুব কম সময় ও খরচে দেশ বিদেশে যোগাযোগ স্থাপন ও ইন্টারনেট সংযোগ ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রান্তের সাথে বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়া যায়। এর মধ্যে স্বল্পমূল্যে কম্পোজ, প্রিন্টিং, ফটোকপি, ফটোতোলা, স্ক্যানিং প্রভৃতি সেবা রয়েছে। আরো রয়েছে কম খরচে কম্পিউটার সহ বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। প্রশিক্ষণের ফলে দেশের তরুণ যুব সমাজ আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে, কমছে বেকারত্ব। মেয়র এই সেবাকে দেশের সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন।
সভায় উপস্থিত প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম নগরের অনেক ওয়ার্ডে এখনো নগর তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু না হওয়ার কথা জানিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে এই সেবাকেন্দ্র চালু করার ব্যবস্থা নিতে কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আর্কষণ করলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, আইন কর্মকর্তা জসীম উদ্দিনম মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, আবু সালেহ, ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি