২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাকখাতের ৯০ শতাংশ শ্রমিককে ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্টের আওতায় আনা হবে। বর্তমানে এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন তৈরি পোশাককর্মী এ পদ্ধতিতে মজুরি পাচ্ছেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদারে নারী শ্রমিকদের ডিজিটাল পেমেন্টের আওতায় আনার ওপর অগ্রাধিকার দিতে হবে। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন হোটেলে (এক্সেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ডিজিটাল ওয়েজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে শিল্পমন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনায় শিল্পমন্ত্রণালয় শীর্ষস্থান দখলকারী মন্ত্রণালয়গুলোর তালিকায় অন্যতম। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি-কলগুলোতে ই-পূর্জি চালুর মাধ্যমে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে। বার্তা সংস্থার খবর
ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্ট পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে শিল্পমন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প কর্মসূচি এখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১শ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। পাশাপাশি দেশে ১শ’৬০ মিলিয়ন মানুষের কাছে মোবাইল সিমকার্ড রয়েছে। তৈরি পোশাকখাতের প্রত্যেক শ্রমিক ন্যূনতম একটি করে মোবাইলফোন ব্যবহার করছেন। এ বাস্তবতায় অল্প সময়ের ব্যবধানে সব তৈরি পোশাক শ্রমিককে ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্টের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ-টু-আই প্রকল্পের পলিসি এডভাইজার অনির চৌধুরীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
আইএলও’র বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর তৌমু পৌটিয়ানিন, ইউএনডিপি’র রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টিটিভ সুদীপ্ত মুখার্জী, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্না ভৌমিক, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। বার্তা সংস্থার খবর