ডায়োক্সিন গ্যাস দূষণ আতঙ্কে হংকংবাসী

56

হংকংয়ে পাঁচ মাস ধরে চলা সরকার-বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাস স্বাস্থ্য নিয়ে ভীতি ছড়িয়েছে। ধরাণা করা হচ্ছে, এই কয় মাসে সেখানে ১০ হাজার রাউন্ডেরও বেশি কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। শহরবাসীদের ভয়, তাতে ডায়োক্সিন গ্যাস ছড়িয়েছে। শহরবাসীরা তাজা ফলমূল দূষণমুক্ত হওয়ার জন্য সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করছে। এমনকী ইন্টারনেটে ছড়ানো বার্তায় বলা হচ্ছে, নারীরা যেন দুই বছরের মধ্যে গর্ভ ধারণ না করেন। কারণ, কাঁদানে গ্যাস থেকে ছড়িয়ে পড়া ডায়োক্সিন এবং সায়ানায়েড মিসক্যারিজ ঘটাতে পারে কিংবা বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে বলে উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের অনেকেই।
ইন্টারনেট বার্তা ছড়িয়ে ডায়োক্সিন দূষণ আক্রান্ত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। যদিও সরকার বলছে, কাঁদানে গ্যাসে ডায়োক্সিন নেই কিন্তু তা বিশ্বাস করছে না শহরবাসী। সমালোচকরা বলছেন, সরকার বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দেওয়ায় মানুষ জানতে পারছে না কাঁদানে গ্যাসে কি কি রাসায়নিক উপাদান আছে। এ সপ্তাহে একটি অনলাইন বার্তায় বলা হয়েছে, “এ বার্তা ছড়িয়ে দিন। বিষাক্ত ফল ভক্ষণ এড়িয়ে চলুন। ডায়োক্সিন খুবই বিষাক্ত। ফল ছিলে খেলেও ওই বিষ যাবে না।” হংকংয়ে কাউলুন উপদ্বীপের ইয়াউ মা তেই শ্রমিক এলাকার হোলসেল বাজার থেকে সাধারণত বেশির ভাগ ফলের চালান আসে। ওই এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে।
গত রোববার ও সোমবারের বিক্ষোভে পুলিশ সেখানে প্রচুর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। তাছাড়া, ইয়াউ মা তেই এলাকার কাছেই পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেও এ সপ্তাহান্তে পুলিশ-বিক্ষোভকারী ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার ওই এলাকার কাছেই অবস্থিত কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের রোগীদেরকে ভেতরে থাকতে বলা হয়। ওদিকে, ইয়াউ মা তেই বাজারের ফল বিক্রেতারা তাদের বিক্রি ৮০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছে। ক্রেতা না থাকায় অনেক দোকানই আগেভাগে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে বিক্রেতারা ফলে বিষ দূষণ নিয়ে এত ভয়ের কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন।
কারণ ফল আসে বক্সের ভেতরে করে। তাছাড়া, যেখানে ফলের চালান নামানো হয় সে জায়গাটি বিক্ষোভস্থল থেকেও ছয় বøক দূরে। “কাঁদানে গ্যাস অতদূরে না পৌঁছানোরই কথা”, বলেন এক ফল বিক্রেতা। প্রতিদিনই নতুন ফল আসে বলে জানান তিনি।