‘ডাক্তার’ লেখা যাবে না

66

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন ছাড়া কেউ নামের আগে বা পরে ডাক্তার বা উচ্চতর ডিগ্রি বিষয়ে কোনও কিছুই ব্যবহার করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী জেআর খান রবিন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাম্মি আক্তার। নিবন্ধিত চিকিৎসক বা দন্ত চিকিৎসকরা তাদের সাইনবোর্ডে, প্রেসক্রিপশন প্যাড বা ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে পিজিটি, বিএইচএস, এফসিপিএস (পার্ট-১ ও পার্ট-২), এমডি (ইন কোর্স), (পার্ট-১, পার্ট-২), (থিসিস পর্ব), (শেষ পর্ব), কোর্স কমপ্লিটেড (সিসি), এমএস (ইন কোর্স) ইত্যাদি এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণ যেমন এফআরসিপি, এফআরএইচএস, আফআইসিএ, এফআইসিএস, এফএএমএস, এফআইএজিপি ইত্যাদি উল্লেখ না করার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। কারণ এগুলো বিএমডিসি স্বীকৃত নয়। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দেশের সকল অনুমোদন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বিএমডিসির প্রেসিডেন্টসহ ৬ জন বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ৬ জনের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেআর খান রবিন। নোটিশে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আইন মোতাবেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারও প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সে নোটিশের কোনও জবাব না পাওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।