ডাকাত সন্দেহে পুলিশের ওপর এলাকাবাসীর হামলা

42

রাউজানে ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ধরতে গিয়ে এলাকাবাসীর হামলার শিকার হন পুলিশ। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে ৩ পুলিশসহ ৭ জন আহত হন। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় উপজেলার পাহাড়তলীর খানপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পুলিশকে ডাকাত ভেবে লোকজন লোহার রড, দা-কিরিচ নিয়ে চড়াও হন। তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষে বেধে যায়। এসময় পুলিশ ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আহত হন ৩ পুলিশ কনস্টেবল। তারা হচ্ছেন আমানুল হক, মিঠুন কুমার, ও নুর মোহাম্মদ। আহত এলাকাবাসী হচ্ছেন খানপাড়ার মৃত আবদুল মালেকের পুত্র মো. ফারুক জোনায়েদ (৩৫), আবুল কাসেম (৩৬), মাবিয়া খাতুন সুমি (২৫) ও কাসেমের স্ত্রী সুরতুন নেসা (২৮)। তাদেরকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়া এ ঘটনায় মৃত আবদুল মালেকের পুত্র মো. নাসিম (৩৭) নামে আরও একজনকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় ইয়াবা ব্যবসায়ী নেজাম।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, খানপাড়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ী নেজামককে ধরতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমতিয়াজ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গতকাল ভোর সাড়ে ৪টায় তার ঘরে হানা দেয়। এতে পুলিশ ডাকাডাকি করলে ঘরের লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করেন। এরপর তারা লোহার রড, কাঠ, দা-কিরিচ দিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। এ সময় পুলিশ ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় আহতদের প্রথমে রাউজান উপজেলা হাসপাতাল ও পরে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
চুয়েট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমতিয়াজ আলী বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী নেজামকে ধরতে শনিবার ভোরে তার ঘরে অভিযান পরিচালনা করলে ঘরের লোকজনসহ এলাকাবাসী দা-কিরিচ, লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেলও নিক্ষেপ করে। এ সময় আমরা ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করি। এ সময় আমাদের ৩ কনস্টেবলসহ ৭ জন আহত হন।
রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নুর নবী জানান, আহতদের চারজন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় আটক ৫ জনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ্য এবং পূর্বক অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে শনিবার সন্ধ্যায় মামলা করা হয়েছে।