ডাকসু নির্বাচন ‘সিরিয়াসলি’ নিয়েছি : কাদের

40

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ যেন জয়ী হতে পারে সে বিষয়টি তার দল গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের মতো ডাকসুর প্যানেল দেওয়ার ক্ষেত্রেও ছাত্রলীগ জোটের পথে হাঁটতে পারে বলে ইংগিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সাবেক সভাপতি কাদের।
গতকাল শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চারজন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছি, তারা ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অবজার্ভ করছে। আমরা এই নির্বাচনকে সিরিয়াসলি নিয়েছি, গণতান্ত্রিকভাবে জয়লাভ করব বলে আশা করছি’।
প্রায় তিন দশক পর আগামি ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলো। তবে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ভোটকেন্দ্র করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আপত্তি রয়েছে ছাত্রদল ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর।
ক্যাম্পাসে সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে নির্বাচন পেছানোরও দাবি জানিয়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যারা ১৯৯০ সালে ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের
স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্রলীগ থেকে একবারই ডাকসুতে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে ওই নির্বাচনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্যানেল থেকে ভিপি পদে জয়ী হয়েছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। ওই প্যানেলে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে মুশতাক আহমেদ জিএস এবং ছাত্র ইউনিয়ন থেকে নাসির-উদ-দৌজা এজিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ভোটের তারিখ হওয়ার পর এবারও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে প্যানেল দেওয়ার কথা বলছেন ছাত্রলীগের নেতারা; যদিও এখনকার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে আগের সব সংগঠন নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতিতে যেভাবে পোলারাইজেশন হয়, তার প্রভাবটা ছাত্র রাজনীতিতেও পড়ে। যাদের সামর্থ্য নেই, তারা হয়তো এতো বেশি সুবিধা নিতে পারে না। যাদের সামর্থ্য আছে নির্বাচন করার মতো, পোলারাইজেশনটা তারা করবে, তারা চেষ্টা করবে এখান থেকে একটা ফায়দা তোলা যায় কি না’।
ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষরা যদি একটা জোট করতে চায়, এখানে আমাদের একটা জোটের কথা ভাবতে হবে। সমীকরণটা যেভাবে হবে, সেই মেরুকরণ অনুযায়ী আমরা চিন্তা ভাবনা করব’।
দুর্নীতি মামলার সাজায় কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এক বছর পূর্ণ হওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তার জেলে থাকার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নাই। এটা আদালতের এখতিয়ার। দন্ড দিয়েছে আদালত, কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত, মুক্তি দিতে পারে আদালত’। খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলায়’ জেলে পাঠানোর যে অভিযোগ বিএনপি করে আসছে, তা ‘অসত্য’ দাবি করে কাদের বলেন, ‘এই মামলায় সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নাই’।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।