ঠাকুর অনুক‚লচন্দ্রের বাণী বিশ্বে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ

133

স্বাধীন বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ঐতিহ্যবাহী প্রথম সৎসঙ্গ ছাত্র সংগঠন ‘সৎসঙ্গ-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ এর উদ্যোগে গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সৎসঙ্গের প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩২ তম আবির্ভাব বর্ষ স্মরণ, বার্ষিক সম্মেলন-২০১৯ ও সৎসঙ্গ- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম বর্ষপূর্তি উৎসব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ভবন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী পরিষদের সভাপতি সজীব দাশের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী প্রধান সুকান্ত দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও বরেণ্য কথাসাহিত্যিক প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ধর্মতত্ত¡বিদ ঢাবি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল হাই। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধক ছিলেন প্রবীন শিক্ষাবিদ সুনীল বিকাশ দাশ (সহ-প্রতিঋত্বিক)। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভাস্কর ডি.কে দাশ মামুন, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু, অধ্যক্ষ প্রফেসর সুভাষ চন্দ্র ধর, ঢাবি সৎসঙ্গের হিরা কুমার কুন্ডূ (যাজক), রাবি সৎসঙ্গের রাজেশ রায়। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক দিলীপ কান্তি দাশ (সহ-প্রতিঋত্বিক), বিপুল চন্দ্র মিত্র (সহ-প্রতিঋত্বিক), মাদল দেব বর্মণ (সহ-প্রতিঋত্বিক)।
সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পলাশ দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আহব্বায়ক ছোটন শর্মা, চবি প্রভাষক কাকলী পাল, সংগঠক শুভাশীষ দাশ, সংগঠক প্রণবরাজ বড়ুয়া। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, মহামানবেরা যুগে যুগে পৃথিবীতে আসেন মানুষকে পথ দেখাতে। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁদের মধ্যে অন্যতম। আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক আদর্শিক সমাজ বির্নিমাণে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বাণী বিশ্ব সম্প্রীতির মেলবন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একাধারে ধর্ম-বিজ্ঞান, শিক্ষা- চিকিৎসা, দর্শন-কলা, কৃষি-শিল্প সব প্রসঙ্গে যুগন্তকারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচন করবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন এই সংগঠনের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততার স্মৃতি স্মরণ করে চবি সৎসঙ্গের সাংবাৎসরিক সামাজিক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধান অতিথি চবি সৎসঙ্গের বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তির অনুদান শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। সভায় প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবনদর্শন প্রত্যেক মানব গোষ্ঠির জন্য প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষায়তনে শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীসমূহ পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা সময়ের দাবি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বাণী ও সাহিত্য শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আহব্বান জানান। প্রধান আলোচক চবি সৎসঙ্গের সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দিনব্যাপি অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল বিশ্বকল্যাণে সমবেত বিনতি প্রার্থনা, শ্রীশ্রীঠাকুরের শুভ বত্রিশোতম শততম আর্বিভাব লগ্নের স্মৃতিচারণ, বণার্ঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, বিনামূল্যে রক্তের গ্রূপ নির্ণয় ক্যাম্প, জাতীয় পতাকা ও সৎসঙ্গ কৃষ্টি পতাকা উত্তোলন, দীক্ষাদান কর্মসূচি, শ্রীশ্রীঠাকুর পূজা, আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা, সৎসঙ্গ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আনন্দবাজারে প্রসাদ বিতরণ ও জয়রাধে কীর্ত্তন। বিজ্ঞপ্তি