ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খুনের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ মাদুরোর

31

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করে বলেছেন, তাকে হত্যা করতে কলম্বিয়া সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়া’কে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে মাদুরো এ অভিযোগ করার পাশাপাশি ট্রাম্প এমনকী ঘরের শত্রæর সঙ্গেও আলোচনার পথ খোলা আছে বলে জানিয়েছেন। তবে আগাম নির্বাচন দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। বুধবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে মাদুরো বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি কলম্বিয়া সরকার এবং দেশটির মাফিয়াদেরকে আমাকে হত্যা করতে বলেছেন।”
“এরপরও আমি ট্রাম্প এবং বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোর সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার পথ খোলা রেখেছি। আমি এখনো গুইদোকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেইনি।” ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পাশে আছেন জানিয়ে মাদুরো বলেন, “আমার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা আছে, আমি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকব।
“তবে কোনোদিন আমার কিছু হলে এর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দুকুয়ে দায়ী থাকবেন।” আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে মাদুরো বলেন, “আমি ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আমি বৈধ পথেই জয়লাভ করেছি। সাম্রাজ্যবাদীরা যদি নতুন করে নির্বাচন চায় তবে তাদের ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”গত ২৩ জানুয়ারি সরকার বিরোধী এক জনসমাবেশে ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো নিজেকে ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করেন। ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং লাতিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশ তাকে স্বীকৃতি দেয়।
অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলোও গুইদোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভেনেজুয়েলায় নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের আহŸান জানিয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়া, চীন ও তুরস্ক মাদুরোর প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে। মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত¡ তেল কোম্পানি থেকে তেল ক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে লাতিন আমেরিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলার তেল বিক্রি মারাত্মক হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র তেল কেনা বন্ধ করে দিলে দেশটির অর্থনীতি খাদের কিনারে পৌঁছে যাবে।