ট্রাফিক জ্যামে বসে গানের চর্চা অতঃপর অস্কার জয়

35

হাতের মুঠোয় এর আগেও অস্কার এসেছে। সেটি ছিল সেরা সহ-অভিনেত্রীর ট্রফি। এবার রেনে জেলওয়েগারের ঘরে এলো সেরা অভিনেত্রীর সম্মান। ‘জুডি’ ছবিতে হলিউড অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ডের চরিত্রে স্মরণীয় অভিনয় করেছেন তিনি। পুরস্কারটি দৃঢ়মুষ্টিতে ধরে মজার একটি তথ্য জানালেন রেনে জেলওয়েগার। ট্রাফিক জ্যামে গাড়িতে বসে জুডি গারল্যান্ডের গান চর্চা করেছেন ৫০ বছর বয়সী এই তারকা। অস্কারজয়ের পর সাংবাদিকদের রেনে জেলওয়েগার বলেন, ‘আমার মা-বাবা সম্ভবত ঘরে একসঙ্গে নেচে এই পুরস্কার উদযাপন করবেন।’ তার মা-বাবা দু’জনই ষাটের দশকে আমেরিকায় অভিবাসী হিসেবে আসেন। একজন নরওয়ে ও অন্যজন সুইজারল্যান্ডের। যন্ত্রণাগ্রস্ত ও ন্যুব্জ হয়ে পড়া জুডি গারল্যান্ডের চরিত্রে নিজেকে রূপান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন রেনে। তার ভাষ্য, ‘নিজে থেকে একমাত্র একটি কাজই করতাম। ওয়াশিংটনের ৪০৫ বাইপাস দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় জুডির গান গাইতাম।
যারা এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করেন তাদের ভালোই জানা আছে, ট্রাফিক জ্যামে এখানে অনেকক্ষণ আটকে থাকতে হয়। তাই সংগীতচর্চার যথেষ্ট সময় পেয়েছি।’ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৯২তম আসরে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে রেনে জেলওয়েগারের জয় একরকম অবধারিত ছিল। এর আগে গোল্ডেন গ্লোবস, বাফটা, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড, ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ডস ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডস জেতায় অনেক এগিয়ে রাখা হয় তাকে। ২০০৪ সালে ‘কোল্ড মাউন্টেন’ ছবির জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রীর অস্কার জেতেন তিনি। সেরা অভিনেত্রী হওয়ার স্বাদ এবারই প্রথম পেলেন। এ বিভাগে রেনে জেলওয়েগারের চার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিনথিয়া এরিভো (হ্যারিয়েট), স্কারলেট জোহানসন (ম্যারেজ স্টোরি), সার্শা রোনান (লিটল উইমেন) ও শার্লিজ থেরন (বম্বশেল)। ২০০২ সালে ‘ব্রিজেট জোন্স ডায়েরি’ ও ২০০৩ সালে ‘শিকাগো’র জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন রেনে জেলওয়েগার। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারেননি। ২০০৪ সালে ‘কোল্ড মাউন্টেন’ তাকে এনে দেয় সেরা সহ-অভিনেত্রীর অস্কার। ১৬ বছর পর আবারও অস্কারে মনোনয়ন পেয়ে পুরস্কার নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন বিখ্যাত এই নায়িকা। এবারের অস্কারে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘প্যারাসাইট’। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ৯২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইংরেজি ব্যতীত অন্য ভাষার ছবি এই স্বীকৃতি পেলো।