ট্রান্স এশিয়ার সাথে সংযুক্তি আশাব্যঞ্জক

63

ইংরেজ শাসন আমল থেকে এদেশে রেল যোগাযোগ জনপ্রিয় যানবাহনে পরিণত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান ভারত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পরে ভারতের সাথে ১৯৬৫ সালে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর রেল বিভাগে কোন রকম উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয় নি বলা যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসীন হবার পর রেল মন্ত্রণালয়ের দিকে নজর দেন। ধারাবাহিক গত দু’মেয়াদ ক্ষমতায় থাকাকালীন দীর্ঘ খরা কাটিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়। বিভিন্ন রেললাইন সংস্কার, নতুন বগি সংযোজন, যাত্রীদের সুবিধার্থে কম সময়ের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে সোনার বাংলা, চট্টল এক্সপ্রেস, কর্ণফুলীসহ জেলা উপজেলায় ডেমুট্রেন সংযোজন করেন।
ঝিমিয়ে পড়া রেল যোগাযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রাণ ফিরে পায়। বর্তমানে দূর পাল্লার যাত্রায়, যাত্রীরা রেলের উপর বেশি পরিমাণে নির্ভরশীল হয়ে এসেছে। বাস যোগাযোগের চেয়ে রেল যোগাযোগে বেশি নিরাপত্তা খুঁজে পাচ্ছে যাত্রী সাধারণ।
ইংরেজ আমলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ দক্ষিণ চট্টগ্রামের দোহাজারি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছি। এরপর তা বিগত সরকারগুলো সম্প্রসারণে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে রেল লাইন দোহাজারি থেকে কক্সবাজার ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত সম্প্রসারণের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যার কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। পর্যটন শহর কক্সবাজারে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা বর্তমান সরকারের একটি অনন্য সংযোজন হিসেবে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। আরো সুখের বিষয় হলো ২৭ জানুয়ারি বর্তমান রেলমন্ত্রী রেল মন্ত্রণালয়ের আরো অগ্রগতির আভাস দিয়েছেন। সিআরবিতে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায়, রেলওয়ের বহু মহাপরিকল্পনার কথা তার বক্তব্য থেকে আমরা জেনেছি।
এসরকারের পরিকল্পনার মধ্যে পদ্মাসেতুর সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা, কালুঘাট রেলসেতু পুনঃনির্মাণ এবং ট্রান্স এশিয়ার সাথে রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণের কথা উঠে এসেছে। ট্রান্স এশিয়ার সাথে চট্টগ্রামের দোহাজারি-কক্সবাজার তথা ঘুমধুম রেল লাইন সংযুক্ত হলে চীন, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ভারতের সাথে বিচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ ও পুনঃস্থাপন হবে। এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্য, বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষনতায় ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবে এতে সন্দেহ নেই। দেশ কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যে বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এ বিশ্বাস সকলের।