টেস্ট মর্যাদার দুই দশক

14

২০ বছর আগে এ দিনে (২৬ জুন) ৯টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের ভোটে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত ক্লাবে দশম সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের লর্ডসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বোর্ড সভায় তৎকালীন সভাপতি ম্যালকম গ্রে বাংলাদেশকে পূর্ণ মর্যাদার টেস্ট খেলুড়ে দেশের খেতাব দেন। তবে টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির মিশনে কেবল মাঠের পারফরম্যান্সই ভূমিকা রাখেনি, এর পেছনে ছিল অনেক কূটনৈতিক যুদ্ধও। তখনকার বিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী দায়িত্বে বসেছিলেন ১৯৯৬ সালে। তার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের লক্ষ্য স্থির করেছিল বোর্ড। সেই লক্ষ্য যথাসময়েই বাস্তবায়ন করেন সাবের হোসেন।
ক্রিকেটবিয়ষক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে সাবেক বিসিবি প্রধান বলেছেন, ‘আমাদের অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো। আমরা পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। সহযোগী দেশ হলেও শীর্ষে পৌঁছানোর স্বপ্ন ছিল আমার। জিম্বাবুয়ে টেস্ট স্ট্যাটাস চাওয়ার আগে তিনবার আইসিসি ট্রফি জিতেছিল। টেস্ট স্ট্যাটাস না পেলে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট মারা যেত। যে মুহূর্তে আমরা আইসিসি ট্রফি জয় করেছিলাম, ঠিক তখনই ডেভিড রিচার্ডকে আমি বলেছিলাম, আমরা টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে কথা বলতে চাই। তিনিও আমাদের কথা শুনেছেন এবং আমাদের সাহায্য করেছেন।’
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় লড়াই করেছেন ক্রিকেটাররা।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় টেস্ট প্রাপ্তিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সাবের হোসেন আইসিসি সভার ভোটাভুটিতে জয় নিশ্চিত করতে তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি জাগমোহন ডালমিয়ার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। এশিয়ার মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ভোটের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন তিনি। হাঁটি হাঁটি করে টেস্টে দুই দশক পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের। ২০০০ সালের নভেম্বরে টেস্ট ক্রিকেটে যাত্রা শুরুর পর এখন পর্যন্ত খেলেছে ১১৯ ম্যাচ। ১৪ জয়ের সঙ্গে ১৬ ড্র বাংলাদেশের। বাকি ৮৯ ম্যাচে হার। সাফল্যের বিচারে খুব বেশি প্রাপ্তি নেই বাংলাদেশের। বিশেষ করে, দেশের বাইরে বাংলাদেশের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। বিদেশের মাটিতে সেরা সাফল্য শ্রীলঙ্কায় নিজেদের শততম টেস্ট জয়।