টেরীবাজারের মেগামার্টে এখনই ভিড়

84

পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতেই ঈদের কেনাকাটার জন্য টেরিবাজারের অভিজাত মেগামল জিএম মেগামার্টে ভিড় করছেন ক্রেতারা। নারী পুরুষ থেকে শুরু করে শিশু-কিশোরে ঠাসা মেগামার্ট। অভিজাত এই স্বয়ংসম্পূর্ণ মেগামলে রয়েছে হরেক বকম লেডিস, জেন্টস, বয়েস ও গার্লস এর সকল প্রকার শাটিং, স্যুটিং, পাঞ্জাবি, থান কাপড়সহ দেশি-বিদেশি থ্রি পিস, প্রসাধনী, কসমেটিক্সসহ নানান ডিজাইনের জামা কাপড়।
গতকাল রাতে মেগামার্টে ঘুরে দেখা গেছে সব ধরনের ক্রেতার ভিড়। এর মধ্যে নারীরাই বেশি।
মেগামার্ট ঈদ উপলক্ষে নিয়ে এসেছে নতুন সব রেডিমেট পোশাক ও থান কাপড়। ঈদ উপলক্ষে তরুণদের পোশাকে এনেছে নতুনত্ব। তার মধ্যে নেটের কাজ, টিস্যুর উপর কাজ করা কাপড়, মকমল, ভ্যালবেট, নেটের উপর জরির কাজ করা কাপড়, তশর কাতান, গুজরাটি, কটন, অরগেঞ্জা, বিভিন্ন ডিজাইনের থান কাপড় ও চিকেন কাপড়।
মেগামার্টের স্বত্ত¡াধিকারী আবদুল হান্নান বলেন, ঈদ উপলক্ষে নানান রকম থান কাপড় ও থ্রি-পিস এনেছি ,আরও আসবে। নতুন ডিজাইনের থান কাপড়ের চাহিদা বরাবরই মেয়েদের প্রথম পছন্দ। তাদের চাহিদা মাথায় রেখেই নতুন দেশি বিদেশী থান কাপড় তুলেছি। ছেলেদের পাঞ্জাবি কালেকশনও অনেক ভালো এবং পছন্দনীয় হবে ক্রেতাদের।
মেগামার্ট থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে সন্তানদের নিয়ে এসেছেন আরশাদ হোসেন। তিনি বলেন, রমজানের শুরুতেই ঈদের কেনাকাটা করে নিচ্ছি। কারণ দিন যতো গড়াবে দামও বাড়বে। তাছাড়া দর্জিরাও কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার নিতে চায়না বেশি দেরি হলে।
শপিং করতে আসা সামিয়া ও নাসরিন নামের দুই বোন বলেন, ঈদের জন্য ভারতের থান কাপড় কিনতে এসেছি। আমাদের পছন্দ মতো ডিজাইন করে সেলাই করবো। এতা তাড়াতাড়ি কেন এসেছেন জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, রোজা রেখে ভিড়ের মধ্যে শপিং করতে ভালো লাগে না তাই আগেভাগেই করছি।
টেরীবাজারের ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ পূর্বদেশকে বলেন, ঐতিহ্যবাহী টেরীবাজারে ছোট বড় প্রায় দুই হাজার দোকান আছে। এসব দোকান সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরার আওতাধীন এবং ঈদ উপলক্ষে প্রশাসনও সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।